ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করেন। আলোচনায় চলে আসেন প্রায়ই। কিন্তু নাঈম শেখ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এলেই যেন হয়ে যান অচেনা একজন। এবারও গল্পটা বদলাল না। বিপিএলে পারফর্ম করে দলে ঢুকলেন বটে, কিন্তু ব্যাট হাতে স্মরণীয় কিছুই করতে পারলেন না দুই ম্যাচে। আর তাই প্রশ্ন উঠছে এখন, এরপরও কি শেষ ম্যাচে সুযোগটা পাবেন নাঈম শেখ?
ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ রান পাচ্ছে না অনেক দিন ধরেই। মাঝে পাকিস্তানের মাটিতে অ্যাওয়ে সিরিজটা ব্যতিক্রম ছিল। সে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৪৪ ও ১১০ রান এসেছিল উদ্বোধনী জুটি থেকে। এরপর শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম ম্যাচেও এসেছিল ৪৬ রান। এই তিনটি জুটিই ছিল তানজিদ হাসান তামিম আর পারভেজ হোসেন ইমনের। এরপর থেকেই আবার এক অঙ্কে ফিরেছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি।
শুরুর জুটি থেকে রান না এলেও দুই ওপেনারের কেউ একজন নিয়মিতই রান পাচ্ছেন। চলমান পাকিস্তান সিরিজের প্রথম ম্যাচে পারভেজ হোসেন ইমন খেলেছেন অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস। তার ঠিক আগের ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারসেরা ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তানজিদ হাসান তামিম।
দুই ব্যাটারের এই ফর্ম ওপেনিং জুটিতে ভরসা দিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। আসছে এশিয়া কাপ তো বটেই, বিশ্বকাপের জন্যও তাদেরকে নিয়ে ওপেনিং জুটির পরিকল্পনা দলের।
তবে দৈব দুর্বিপাকের কথা ভেবে ব্যাকআপ ওপেনারও তো চাই দলের। সে ভাবনা থেকেই সবশেষ ম্যাচে নাঈম শেখকে দিয়ে একটা চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে বলাই বাহুল্য সে চেষ্টাটা মাঠে মারা গেছে দলের। সবশেষ ম্যাচে তিনি আউট হয়েছেন ৭ বলে ৩ রান করে। প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন দলীয় ৫ রানে।
এর আগে অন্য ভূমিকাতেও তাকে দলে খেলানো হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তিনি খেলেছিলেন মিডল অর্ডারে। ২৯ বলে তিনি করেছিলেন ৩২ রান, স্ট্রাইক রেট ১১০। প্রায় তিন বছর পর দলে ঢুকে সব মিলিয়ে তিনি রান করেছেন ৩২, স্ট্রাইক রেট মোটে ৯৭।
এমন ব্যাটিং অবশ্য নাঈমের পুরো ক্যারিয়ারেরই চিত্র। ৮৫০ রান করেছেন ১০৩ স্ট্রাইক রেটে। টি-টোয়েন্টির মতো গতিশীল ফরম্যাটে তার মন্থর ব্যাটিং বহু আগেও সমালোচনার মুখে পড়েছে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শেষ কিছু দিনে দুই ওপেনিং ব্যাটার পারভেজ ও তানজিদ আশার আলো দেখাচ্ছেন ইতিবাচক ব্যাটিং দিয়ে। দুজনই ব্যাট করছেন প্রায় ১৩০ এর আশেপাশে স্ট্রাইক রেটে, আদর্শ না হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতা বিচারে যা বেশ আশাব্যঞ্জক। ঠিক সে পরিস্থিতিতে ব্যাক আপ ওপেনার হিসেবেও নাঈম শেখের ‘অ্যাপ্রোচ’ বেশ নেতিবাচক।
আর তাই এখন প্রশ্নটা উঠছে, এই অ্যাপ্রোচ নিয়ে নাঈম কি আরও সুযোগ পাবেন দলের একাদশে? সে প্রশ্নের জবাব মিলবে আজ বিকেলে।
পিএ/এসএন