উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে ‘প্রকৃত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত’ থাকার নির্দেশ দেশটির নেতা কিম জং উন। দেশটির সামরিক বাহিনীর আর্টিলারি ইউনিটের গোলাবর্ষণ প্রতিযোগিতা পর্যবেক্ষণের সময় এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত কোরিয়া সেন্ট্রাল টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, আর্টিলারি ইউনিটের সৈন্যরা সাগরের দিকে গোলাবর্ষণ করছেন। এ সময় কিম জং উনকে পর্যবেক্ষণ চৌকি থেকে দূরবীন দিয়ে সৈন্যদের এই প্রতিযোগিতা পর্যবেক্ষণ করতে দেখা যায়। সেসময় তার পাশে সামরিক বাহিনীর দুই কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তবে বুধবারের এই মহড়ার সুনির্দিষ্ট স্থান জানানো হয়নি।
রাষ্ট্রায়ত্ত কোরিয়া সেন্ট্রাল টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, আর্টিলারি ইউনিটের সেনারা সাগরের দিকে গোলাবর্ষণ করছেন। একটি পর্যবেক্ষণ পোস্টে কিমকে দূরবীন দিয়ে লক্ষ্য রাখতে দেখা যায়। তার পাশে ছিলেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। তবে বুধবারের ওই প্রতিযোগিতা কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, কিম সৈন্যদের সবসময় ‘প্রকৃত যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার এই নেতা বলেছেন, সৈন্যদের প্রত্যেক যুদ্ধে শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
কিমের এই বক্তব্য এমন সময় এলো, যখন পিয়ংইয়ং ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে, গত বছর রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ১০ হাজারের বেশি সেনা, গোলাবারুদ, ক্ষেপণাস্ত্র ও দূরপাল্লার রকেট পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
সিউল বলেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ের সময় উত্তর কোরিয়ার অন্তত ৬০০ সৈন্য নিহত ও আরও কয়েক হাজার আহত হয়েছেন।
সম্প্রতি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর প্রতি ‘পূর্ণ সমর্থন’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন কিম জং উন। এর আগে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পিয়ংইয়ংয়ে বিরল সফরের সময় দুই দেশের মাঝে সামরিক সহযোগিতা বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। সেই চুক্তিতে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার শর্তও যুক্ত রয়েছে।
সূত্র: এএফপি।
এমআর/এসএন