চীন-উত্তর কোরিয়ার সঙ্গী হয়ে এশিয়ান কাপে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২৬ সালের এএফসি নারী এশিয়ান কাপে গ্রুপ ‘বি’তে পড়ল বাংলাদেশ। যেখানে লাল সবুজদের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন এবং উত্তর কোরিয়া।


অস্ট্রেলিয়ার সিডনি টাউন হলে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে চার পটের ১২ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ড্র অনুষ্ঠান। যেখানে পট-৪ থেকে ঋতুপর্ণাদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘বি’ গ্রুপে।


অপর তিন প্রতিপক্ষ এসেছে তিনটি আলাদা পট থেকে। যেখানে পট-৩ থেকে উজবেকিস্তানকে পায় বাংলাদেশ। চীন ও উত্তর কোরিয়া ছিল যথাক্রমে পট-২ এবং পট-১ এ।

এছাড়া ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও ফিলিপিনস। আর ‘সি’ গ্রুপে ভারত প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে জাপান, ভিয়েতনাম ও চাইনিজ তাইপেকে।

আগামী বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নারী এশিয়ান কাপের ২১তম আসরটিতে বাছাইপর্ব থেকে সবার আগে জায়গা নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে মিয়ানমান, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানকে হারিয়ে গত ২ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার টিকিট নিশ্চিত করে লাল সবুজরা। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার তারা জায়গা করে নেয় এশিয়ান কাপের মূলপর্বে।

আগামী ৩ মার্চ সিডনি ওয়েস্টার্ন স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চীনের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দুদিন বিরতি দিয়ে একই স্টেডিয়ামে উত্তর কোরিয়ার মোকাবিলা করবে ঋতুপর্ণারা। আর ৯ মার্চ পার্থের রেকট্যাঙ্গুলার স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে উজবেকিস্তানের মুখোমুখি হবে লাল সবুজরা।

গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষে প্রতিটি গ্রুপের সেরা দুটি দল সরাসরি জায়গা করে নেবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তাদের সঙ্গে তিন গ্রুপের সেরা দুই সেকেন্ড রানার্স আপও সুযোগ পাবে সেরা আটে। ২১ মার্চ ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে আসরটির।

এ টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ থাকছে বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকেও জায়গা করে নেয়ার। নারী এশিয়ানক কাপের গ্রুপে পর্বের লড়াই শেষে শীর্ষ দুইয়ে থাকলেই মিলবে বিশ্বকাপ টিকেট। অবশ্য তৃতীয় হলেও সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে খেলতে হবে প্লে অফ। ছয় মহাদেশের ১০ দলের মধ্যে দুই ভাগে করে হবে ইন্টার কনফেডারেশন প্লে অফ। এখান থেকে তিন দল সুযোগ পাবে ২০২৭ নারী বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপ না হলে অলিম্পিকেও খেলার সুযোগ আছে। এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আট দলকে নিয়ে হবে অলিম্পিক বাছাই। পাশ করলেই লস অ্যাঞ্জেলেস।


এফপি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে নির্মিত হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ Jul 30, 2025
img
বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম, গিয়াস কাদেরের পদ স্থগিত Jul 30, 2025
img
শেষ হয়েছে আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ ওপেন ২০২৫ Jul 30, 2025
img
ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আলোচনা Jul 30, 2025
img
ইসি আনোয়ারুলের কমিটিকে সীমানা নির্ধারণের সুপারিশ দিল কারিগরি কমিটি Jul 30, 2025
img
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে নিউইয়র্কের মেয়রের মন্তব্য Jul 30, 2025
img
বিপৎসীমার উপরে তিস্তার পানি, বন্যার আশঙ্কায় নদীপাড়ের মানুষ Jul 30, 2025
img
জুলাই শহীদ ও আহতদের আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Jul 30, 2025
img
এশিয়ান কাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ, তবে উপভোগ করতে চান কোচ Jul 30, 2025
img
মাঝ-আকাশে হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল বিমানের ইঞ্জিন, মে ডে কল পাইলটের Jul 30, 2025
img
হাথুরুসিংহেকে কোনো ক্রিকেটারই বিশ্বাস করতে পারত না: সোহান Jul 30, 2025
img
রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আবারও আইনি নোটিশ Jul 30, 2025
img
‘দোয়া নিতে’ ছারছিনা পীরের সাথে সাক্ষাৎ করলেন সালাহউদ্দিন আহমদ Jul 30, 2025
img
যুদ্ধ না থামালে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য Jul 30, 2025
img
৫ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় জানতে পারি হাসিনার পতন হবে : চৌধুরী মামুন Jul 30, 2025
img
বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় বিনিয়োগ করবে হানডা Jul 29, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে র‌্যাংকিং পদ্ধতিতে বিএনপিসহ কয়েকটি দলের দ্বিমত : আলী রীয়াজ Jul 29, 2025
img
তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা শুরু Jul 29, 2025
img
বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করেছে সরকার Jul 29, 2025
img
ভাই হারানোর শোকে বিহ্বল এ কে রাহুলের হৃদয়ভাঙা স্ট্যাটাস Jul 29, 2025