২০০০ সালের সেই টেলিভিশন ইতিহাস গড়া ধারাবাহিক ‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’ ফিরেছে আবারও, প্রায় দু’দশক পর। শুরু হয়েছে দ্বিতীয় সিজনের সম্প্রচার। আর প্রথম পর্ব দেখেই আবেগে ভাসছেন দর্শকরা। তুলসীর জল ঢালার মুহূর্ত, গায়ত্রী মন্ত্র, সেই পুরনো টাইটেল ট্র্যাক— যেন এক লহমায় ফিরিয়ে নিয়ে গেল ২০০০ সালের সন্ধ্যাগুলোয়।
ধারাবাহিকের শুরুতেই দেখা গেল স্মৃতি ইরানির ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন। তুলসী চরিত্রে তাঁকে আবারও দেখে আবেগে ভেসেছেন নস্ট্যালজিয়া-পিয়াসী দর্শক। শান্তিনিকেতনের সিংহদুয়ার খুলে দিচ্ছেন তিনি। তাঁর পাশে দেখা যাচ্ছে একঝাঁক নতুন মুখ। মিহির-তুলসীর ৩৮তম বিবাহবার্ষিকীর দৃশ্য দিয়েই শুরু সিজন ২।
তবে সময় যেন থমকে রয়েছে! বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, গল্প এগোলেও চরিত্রেরা যেন আটকে আছেন পুরনো ফর্মুলাতেই। সময়ের সঙ্গে তাঁদের বয়স বাড়েনি, বিশ্বাস বদলায়নি। সেই একই পোশাক, একই অভিব্যক্তি, এমনকি প্রায় একরকম সংলাপ— যা নতুন প্রজন্মের দর্শকের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হতে পারে বলেই ধারণা সমালোচকদের।
তবু দর্শকের উত্তেজনায় ভাটা নেই। কারণ, এবারের গল্প প্রায় ২৫ বছর এগিয়ে গিয়েছে। তুলসী-মিহিরের পরবর্তী প্রজন্মকে ঘিরেই এবার গল্প। হিতেন তেজওয়ানি ও গৌরি প্রধান স্বাগত জানাচ্ছেন দর্শককে শান্তিনিকেতনে। তাঁদের হাত ধরেই পরিচয় মিলছে নতুন চরিত্রদের সঙ্গে।
তুলসী ও মিহিরের দুই ছেলে অঙ্গদ ভিরানি ও হৃতিক ভিরানির চরিত্রে অভিনয় করছেন রোহিত সুচান্তি ও আমান গান্ধী। রয়েছে আরও অনেক নতুন মুখ, নতুন গল্প। ধারাবাহিকের একটি বিহাইন্ড দ্য সিন ভিডিও-ও প্রকাশ্যে এসেছে ইতিমধ্যে, যেখানে দেখা যাচ্ছে চুটিয়ে চলছে শুটিং।
দর্শক মন বলছে— পুরনো তুলসী ফিরলে নতুন তুলসীদের পথ চলা দেখতে আপত্তি কোথায়? যদিও কনটেন্টের গভীরতা ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। নস্ট্যালজিয়ার মোড়কে কি তবে পুরনো ফর্মুলারই পুনরাবৃত্তি?
এসএন