বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৃতি স্যানন। অল্প সময়েই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন পর্দায়। জায়গা করে নিয়েছেন বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে। তবে অভিনয়ের মঞ্চ পেরিয়ে তিনি এখন একাধারে অভিনেত্রী, উদ্যোক্তা আর প্রযোজকও।
১০০ কোটির বেশি মূল্যের ব্যবসা সাম্রাজ্যের অধিকারী এই অভিনেত্রী। ‘হাইফেন’ নামক তার স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ডটি মাত্র দুই বছরে আয় করেছে ৪০০ কোটি টাকা।
এই বছর কৃতি স্যাননের জন্য এটি দ্বৈত উদযাপন। অভিনেত্রী সম্প্রতি ৩৫ বছরে পা দিয়েছেন এবং তার বিউটি ব্র্যান্ড হাইফেন দুই বছরে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে, ব্র্যান্ডটি বাজারে ঠিক কতটা ভালো পারফরম করছে তাও প্রকাশ্যে এসেছে। হাইফেনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তরুণ শর্মা জানিয়েছেন, দুই বছরে ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছে এই ব্র্যান্ড।
তরুণ জানিয়েছেন, ‘হাইফেনের দ্বিতীয় জন্মদিনে মোট আয়ের এআরআর (বার্ষিক পুনরাবৃত্তি রাজস্ব) অতিক্রম করা এবং ৬০ শতাংশ পুনরাবৃত্তি গ্রাহকের অনুগত গ্রাহক বেস থাকা- এটি অবিশ্বাস্যের চেয়ে কম নয়। ১৯ হাজারের বেশি পিন কোড জুড়ে মাত্র এক বছরে ১ মিলিয়ন থেকে ৪ মিলিয়ন গ্রাহক পর্যন্ত এটি সম্ভব হয়েছে কারণ আমরা গ্রাহকদের বুঝতে পেরেছি।
একটি বিভাগ তৈরি করেছি এবং সঠিক বিক্রয় চ্যানেলটি বেছে নিয়েছি, পাশাপাশি ডেটা-চালিত এক্সিকিউশনসহ একটি তীক্ষ্ণ পণ্য কৌশল আমাদের এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করেছে।’
২০২৩ সালের জুলাই মাসে কৃতির ৩৩তম জন্মদিনে স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড ‘হাইফেন’ উন্মোচন করা হয়েছিল। সেই যাত্রার কথা উল্লেখ করে কৃতি বলেন, ‘গত দুই বছর অবিশ্বাস্যের চেয়ে কম ছিল না। স্ক্র্যাচ থেকে হাইফেন তৈরি করা আমার জীবনের অন্যতম ব্যক্তিগত এবং পরিপূর্ণ যাত্রা। একটি ধারণা থেকে এমন একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে এটি, যা এখন অনেক গ্রাহক বিশ্বাস করে এবং ভালোবাসে।
এখনো অবাস্তব মনে হয় এই জার্নি। আমি প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে কৃতজ্ঞ যারা আমাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছেন এবং তাদের জীবনে আমাদের হাইফেন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন! আমাদের দুই বছরের এ যাত্রায় পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!’
নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালে ‘হাইফেন’ নামে একটি স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড চালু করেন। কোভিডের সময়ই ত্বকের যত্নের গুরুত্ব বুঝেছিলেন তিনি। কৃতির ‘হাইফেন’-এর যাত্রা ছিল ঝড়ের গতিতে। পেপ টেকনোলোজিস-এর সঙ্গে জোটবেঁধে তৈরি হওয়া এই ব্র্যান্ড প্রথম বছরেই ১০০ কোটির বাজারমূল্য ছুঁয়েছে! ফোর্বস-এর তথ্য বলছে, এখন এটি ক্যাটরিনা কাইফের ‘কে বিউটি’ কিংবা মীরা রাজপুতের ‘আকিন্দ’-এর মতো শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয় কৃতির হাইফেনকে।
ত্বকের যত্নের পাশাপাশি নিজের ফিটনেস অভিজ্ঞতাকেও ব্যবসায় রূপ দিয়েছেন কৃতি। ‘মিমি’ সিনেমার জন্য ওজন বাড়ানো আর কমানোর চ্যালেঞ্জ থেকেই তার মাথায় আসে ফিটনেস ভেঞ্চারের ধারণা। ২০২২ সালে চালু করেন ‘দ্য ট্রাইব’। মুম্বাইয়ের জুহুতে প্রথম শাখা খোলার পর ২০২৪ সালে বান্দ্রাতেও নতুন স্টুডিও চালু করেন তিনি। এখান থেকে প্রতি মাসেই আসে মোটা অঙ্কের আয়। অভিনয়ের বাইরে গল্প বলার ঝোঁকও দমিয়ে রাখতে পারেননি কৃতি। ২০২৩ সালে চালু করেন নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু বাটারফ্লাই ফিল্ম’। এখান থেকেই ২০২৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘দো পাত্তি’, যেখানে অভিনয় করেছিলেন কাজল। সিনেমাটি সমালোচক মহলে ভালোই প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এমকে/টিএ