বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এক দুর্ভেদ্য রহস্যের নাম। ফ্লোরিডার অগ্রভাগ থেকে পুয়ের্তো রিকো ও বারমুডা জুড়ে বিস্তৃত ৭ লাখ বর্গ কিলোমিটারের এই রহস্যজনক ট্রায়াঙ্গল একশ বছর ধরে রহস্য প্রিয় মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
একে ঘিরে তৈরি হয়েছে বহু সিনেমা, টিভি নাটক; লেখা হয়েছে বহু গল্প-উপন্যাস।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি অনুযায়ী, গেল পাঁচশত বছরে এই রহস্যময় ট্রায়াঙ্গলে বিলীন হয়েছে ৫০ টি জাহাজ, ২০ টি উড়োজাহাজ এবং কমপক্ষে ১০০০টি মানব জীবন।
এদিকে, এক যুগেরও বেশি সময় গবেষণার করে একদল ব্রিটিশ ওশেনোগ্রাফার বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে শত শত অন্তর্ধানের কারণ খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করছেন।
ইংল্যান্ডের সাউথ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, জাহাজগুলি সাগরে ডুবে গিয়েছিল হঠাৎ সৃষ্ট ‘রোগ ওয়েভ’ বা ক্রূর ঢেউয়ের কারণে। তাদের মতে, হঠাৎ সৃষ্ট এই ঢেউগুলির উচ্চতা ৩০ মিটার বা ১০০ ফুটের বেশি।
গবেষক দলের প্রধান ড. সিমোন বোক্সাল বলেন, “সেখানে উত্তর এবং দক্ষিণ থেকে একসঙ্গে ঝড় আসতে থাকে, যার উচ্চতা গড়ে ৩০ মিটার। ফলে জাহাজ যত বড় হয় সেটি তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
গবেষকদের মতে, যখন অস্বাভাবিক বড় কোনো ঢেউ সমুদ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে, তখন তার থেকে ক্রূর ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। সাধারণ ঢেউ সমূহের গড় উচ্চতা ১২ মিটার এবং সেগুলোর ভাঙ্গন ক্ষমতা প্রতি ইঞ্চিতে প্রায় ৮.৫ পাউন্ড। আর,আধুনিক জাহাজগুলির সহন ক্ষমতা প্রতি ইঞ্চিতে গড়ে ২১ পাউন্ড। কিন্তু ক্রূর ঢেউয়ের ভাঙ্গন ক্ষমতা প্রতি ইঞ্চিতে ১৪০ পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে!
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কুখ্যাত ট্রায়াঙ্গলে ৪ যাত্রী বহনকারী একটি বিমান নিখোঁজ হয়েছিল। দলটি পুয়ের্তো রিকো থেকে মা দিবস উদযাপন শেষে নিজস্ব দুই প্রপেলার বিশিষ্ট প্লেনে ফ্লোরিডায় ফিরে যাবার পথে প্লানটি বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে রাডার থেকে হারিয়ে যায়। সূত্র: আরটি.কম।
টাইমস/এনজে/জিএস