নাইম শেখের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সঙ্গে আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৬৮ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ম্যাচ জেতাতে বাকি কাজ সেরেছেন তিন স্পিনার মাহফুজুর রহমান রাব্বি, সাইফ হাসান ও রাকিবুল হাসান। তারা তিনজনে মিলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। মাহফিজুল ইসলাম রবিনের ৪১ রানের ইনিংসের পরও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৩৩ রানে থামে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৬৯ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্সের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন হাবিবুর রহমান সোহান। পাওয়ার প্লে শেষের আগে আইচ মোল্লার উইকেটও হারায় তারা। ২২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর এইচপিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন ও আশিকুর রহমান শিবলি। তারা দুজনে মিলে ৪৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন।
২৪ বলে ২১ রান করা আশিকুরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রাকিবুল হাসান। একটু পর আউট হয়েছেন মাহফিজুলও। হাফ সেঞ্চুরির সুযোগ থাকলেও ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফেরেন ডানহাতি এই ওপেনার। সোহান ও আইচের পর আরেক টপ অর্ডার ব্যাটার মাহফিজুলের উইকেটও নিয়েছেন স্পিনার রাব্বি। পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৯ ও শরিফের ১২ রানে কেবল হারের ব্যবধান কমেছে। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে রাব্বি তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন রাকিবুল ও সাইফ।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রান আউট হয়ে ফেরেন সাইফ হাসান। ডানহাতি ওপেনারের বিদায়ের পর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন নাইম ও মাহিদুল ইসলাম। পাওয়ার প্লেতে বেশিরভাগ রানই এসেছে নাইমের ব্যাট থেকে। পাওয়ার প্লে শেষের আগেই তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন আহমেদ শরিফ।
ডানহাতি পেসারের বলে আইচ মোল্লার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৮ বলে ৪ রান করা অঙ্কন। একটু পর আউট হয়েছেন নাইমও। হাফ সেঞ্চুরির পথে থাকলেও সমান তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩২ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলা ওপেনারকে ফেরান নাঈম আহমেদ সাকিব। তরুণ এই স্পিনারের বলে স্টাম্পিং হয়েছেন তিনি। ৬০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন আফিফ ও সোহান। তাদের দুজনের ব্যাটেই এগোতে থাকে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন সোহান। চট্টগ্রামে নিজের খেলা শেষ দুই প্রস্তুতি ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। সেই ছন্দ ধরে রেখে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্সের সঙ্গে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি। আব্দুল গাফফারের বলে আউট হওয়ার আগে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৬ বলে ৫৮ রান করেছেন সোহান। আরেক ব্যাটার আফিফও গত ম্যাচে রান পেয়েছিলেন।
দলকে জেতাতে না পারলেও ছন্দ ধরে রেখে দ্বিতীয় ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ডিপ মিড উইকেট দিয়ে দারুণ এক ছক্কা মেরে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন। বাঁহাতি ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪০ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে। দুইটি ছক্কার সঙ্গে তিনটি চারও মেরেছেন তিনি। বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্সের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফ, আব্দুল গাফফার ও নাঈম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর—
বাংলাদেশ ‘এ’ দল— ১৬৮/৪ (২০ ওভার) (নাইম ৪৭, আফিফ ৫১*, সোহান ৫৮; নাঈম ১/১১, শরিফ ১/২৩)
বাংলাদেশ এইচপি— ১৩৩/৯ (২০ ওভার) (মাহফিজুল ৪১, আশিকুর ২১, মামুন ১৯; রাব্বি ৩/২৩, সাইফ ২/১৩, রাকিবুল ২/১৯)
কেএন/টিএ