ভুটান নারী ফুটবল লিগে বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের দাপট চলছে। সাবিনা-ঋতুপর্ণা চাকমাদের পারো এফসি সবার শীর্ষে রয়েছে। তাদের পিছু ছুটছে কৃষ্ণা, রুপ্না চাকমাদের ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড ১২-০ গোলে ফুটসেলিং হিরোস ওমেন্স ফুটবল ক্লাবকে হারায়।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সিনিয়র ফুটবলার কৃষ্ণা রাণী সরকার ৫ গোল করেন। প্রথমার্ধেই তিনি হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। দ্বিতীয়ার্ধে করেন আরো দুই গোল। ১২ গোলের মধ্যে কৃষ্ণা পাঁচ গোল করায় ম্যাচ সেরা হন। ভুটান নারী লিগে এটি কৃষ্ণার দ্বিতীয় ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি। কয়েক মাস বিরতির পর আবার ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হওয়ায় কৃষ্ণা বলেন, ‘ভালো লাগছে আবার ম্যাচ সেরা হলাম। এটা আমার দ্বিতীয়বার। দল বড় ব্যবধানে জিতেছে আমি সেখানে অবদান রাখতে পেরেছি। এটাই ভালো লাগা।’
ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডে খেলেন ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রাণী সরকার, বাংলাদেশের ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন ও গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা। মাসুরা ডিফেন্ডার হলেও ভুটান লিগে কয়েকটি গোল করেছেন। মঙ্গলবার অবশ্য কোনো গোল পাননি। বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপ্না ক্লিনশিট রেখেছেন। ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা একাই দলের প্রায় অর্ধেক সংখ্যক গোল করেন।
সাবিনা খাতুনের পর কৃষ্ণা বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সিনিয়র খেলোয়াড়। তার গতি, স্কিল ও শুটিং সবই ছিল অসাধারণ। ২০২২ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে কৃষ্ণার অবদান অনেক। তিনি ফাইনালে জোড়া গোল করেন। ২০২৩ সাল পুরোটাই তিনি ইনজুরিতে থাকায় নিজের চিরাচরিত ফর্ম আর পাননি। ২০২৪ সালের সাফ চ্যাম্পিয়ন স্কোয়াডে থাকলেও সেই কৃষ্ণাকে দেখা যায়নি। তবে ভুটান নারী লিগে অনেকটা আগের ফর্মেই খেলছেন কৃষ্ণা। এরপরও বাংলাদেশ নারী দলের ব্রিটিশ হেড কোচ বাটলারের নজরে সেভাবে আসছেন না।
পিএ/এসএন