কাজলের ৫১তম জন্মদিন ছিল শুধুই আরেকটি জন্মদিন নয়। এটি পরিণত হয়েছিল এক ঐতিহাসিক, আবেগঘন মুহূর্তে। ৫ আগস্ট, মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত মহারাষ্ট্র স্টেট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড ২০২৫–এ কাজলের হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মানজনক রাজ কাপুর পুরস্কার।
এই বিশেষ সম্মান ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হয়। তবে এই পুরস্কারপ্রাপ্তির মুহূর্ত আরও তাৎপর্যময় হয়ে ওঠে যখন কাজল মঞ্চে ওঠেন মায়ের শাড়ি পরে, সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তনুজা, যিনি একসময় একই পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মঞ্চে উঠে কাজল মারাঠি ভাষায় বলেন, “যে মঞ্চে একদিন মা দাঁড়িয়েছিলেন, আজ আমি দাঁড়িয়েছি। এই অনুভব ভাষায় প্রকাশ করার নয়। জন্মদিনে এর চেয়ে বড় উপহার আর কিছু হতে পারে না।”
পুরস্কারটি কাজলের হাতে তুলে দেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস। উপস্থিত দর্শকদের মাঝে এই মা-কন্যার যুগল উপস্থিতি মুহূর্তেই আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করে।
বলিউডের সবচেয়ে স্মরণীয় রোমান্টিক সিনেমাগুলোর নায়িকা কাজল। দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, কুছ কুছ হোতা হ্যয়, ফানাহ কিংবা মাই নেম ইজ খান—সব ছবিতেই তিনি ছিলেন নিজ গুণে আলাদা। তার অভিনয়গুণ ও পর্দার ব্যক্তিত্ব বহু দর্শকের ভালোবাসা কুড়িয়েছে বছরের পর বছর।
তবে এই সন্ধ্যা তাঁর জন্য ছিল একেবারে অন্যরকম। শুধু একজন অভিনেত্রী হিসেবে নয়, একজন কন্যা হিসেবেও গর্বে ভরে উঠেছিলেন কাজল। রাজ কাপুর পুরস্কার যেন নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিল, বলিউডে শুধু তারকা নয় উত্তরসূরিরাও ইতিহাস গড়েন।
এমকে/টিএ