এই মুহূর্তে কলকাতার বাংলা ধারাবাহিকের হিট জুটি জিতু কামাল আর দিতিপ্রিয়া রায়। দিতিপ্রিয়া আর জিতু ফেসবুকে একে-অন্যের সম্পর্কে বিরক্তি প্রকাশ করতে দ্বিধা করেননি।
জিতু দিতিপ্রিয়াকে অশালীন টেক্সট পাঠাচ্ছেন রাতে, সে কথা বলে দেন দিতিপ্রিয়া। জিতু কামাল আবার পুরো কথোপকথনের স্ক্রিন শট পোস্ট করে দেন।
টলিপাড়ায় আলোচনা, হয় এই ধারাবাহিক বন্ধ হবে, না হয়, বদলে যাবে প্রধান মুখ। আইনি লড়াই হতে পারে।
টলিউডে কোনো মনকষাকষি বা মতবিরোধ স্থায়ী নয়। নায়ক দেব আর নায়িকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের পথ একটা সময়ে আলাদা হয়ে গিয়েছিল।
কথা বন্ধ, দেব ফোনে ব্লক করে দিয়েছিলেন শুভশ্রীকে। এমনটা চলতে-চলতে ধূমকেতুর মতোই তাদের আবির্ভাব নজরুল মঞ্চে। অনুরাগীদের আবেগে ভাসিয়ে দিলেন দুজনে হাতে-হাত ধরে।
কিন্তু আজকে যে মতবিরোধ, দশ বছর পর তা মিলনে পরিণত হতেই পারে।
২০৩৫-এ নজরুল মঞ্চে কি হঠাত্ৎ দেখা যাবে কোনো অনুষ্ঠানে জিতু-দিতিপ্রিয়া একসঙ্গে পারফরম করছেন?
জিতু বললেন, আগামী দিনে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো আমার নিশ্চয়ই কোনো প্রেমিকা হবে, যার সঙ্গে মতবিরোধের পরও আবার মঞ্চে গিয়ে দাঁড়াতে ইচ্ছা করবে। তার জন্য শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো প্রেমিকা হতে হবে তো। যার না আছে কোনো ইগো, না আছে কোনো হিংসা। যার মধ্যে শুধু কাজ করার খিদে আছে। তা হলে দশ বছর পর সেই প্রেমিকার কাছে গিয়ে মাথা নত করা যেতে পারে।
অভিনেতা আরো বলেন, আমাকে এতটাই কমফোর্ট জোনে পৌঁছে দিয়েছিল, ‘গৃহপ্রবেশ’ ছবির ক্লাইম্যাক্সের দৃশ্যে কোথায় স্পর্শ হয়েছে আমরা নিজেরাই জানি না। কিন্তু এখানে তো প্রচুর ভেবে কাজ করতে হয়। অভিনেত্রী হিসাবে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো ডেডিকেটেড হতে হবে। শুভশ্রীর মতো অমায়িক হতে হবে। দিতিপ্রিয়াকে অভিনেত্রী হিসাবে সেই উচ্চতায় পৌঁছাতে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে, অনেক বেশি পরিণত হতে হবে।
লক্ষণীয় শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘গৃহপ্রবেশ’ ছবিতে দেখা যাচ্ছে নায়ককে। সিনেমাহলে সেই ছবি ৫০ দিন সম্পূর্ণ করল। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিক এখন কোন দিকে মোড় নেয়, সেটা দেখার অপেক্ষা।
এমকে/টিএ