আফ্রিকার আরও এক দেশের জন্য নিয়মিত ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ দেশটি হলো জিম্বাবুয়ে। এর আগে নাইজারের জন্য নিয়মিত ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়।
হেরাল্ড অনলাইনের এক প্রতিবেদন মতে, জিম্বাবুয়েতে প্রায় সব ধরনের ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ হিসেবে দেশটির নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান এবং অভিবাসন চুক্তিতে সহযোগিতার অভাবের কথা বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানী হারারেতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জিম্বাবুয়ের হারারেতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বেশিরভাগ কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল ভিসা বাদে সমস্ত নিয়মিত অভিবাসী ও অ-অভিবাসী ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে।’
এই পদক্ষেপকে সাময়িক বলে উল্লেখ করে দূতাবাস জানিয়েছে, এটি ভিসার নির্ধারিত সময়ের বেশি থাকা (ওভারস্টে) ও ভিসার অপব্যবহার রোধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের একটি অংশমাত্র। তবে বেশির ভাগ কূটনৈতিক ও সরকারি ভিসা এই স্থগিতাদেশের আওতায় পড়বে না।
ট্রাম্পের অভিবাসন সংক্রান্ত কঠোর নীতিমালার অংশ হিসেবে আফ্রিকার একাধিক দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নতুন বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়, যার মধ্যে সাতটি দেশ আফ্রিকায় অবস্থিত।
এছাড়া আরও সাতটি দেশের ওপর বিধি-নিষেধ বাড়ানো হয়, যার মধ্যে তিনটিই আফ্রিকার দেশ। যুক্তরাষ্ট্র আরও জানিয়েছে, ৩৬টি দেশকে তারা নির্দেশ দিয়েছে নিজেদের নাগরিকদের যাচাই-বাছাই পদ্ধতি উন্নত করতে হবে। অন্যথায় সে দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এই ৩৬টি দেশের বেশির ভাগই আফ্রিকার।
জিম্বাবুয়ে, মালাবি ও জাম্বিয়া এই তালিকায় রয়েছে। এ দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বলা হয়েছে, তাদের নাগরিকদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নথিপত্র উন্নত করতে হবে এবং যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে, তাদের বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় নাইজারের জন্য নিয়মিত ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়। গত ২৬ জুলাই মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর নাইজারের রাজধানী নিয়ামে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে সকল নিয়মিত ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। এই পদক্ষেপ দেশটির সকল অভিবাসী এবং অ-অভিবাসী ভিসা বিভাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়।
এমকে/টিকে