আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) একজন উপ-মহাপরিচালক সোমবার তেহরান সফরে যাচ্ছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রোববার (১০ আগস্ট) এ কথা জানিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, যতক্ষণ না দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য কাঠামো চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত, উপ-মহাপরিচালকের কোনো পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের পরিকল্পনা নেই। খবর আনাদুলুর।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে আরাগচি বলেন, “সোমবার আইএইএর সঙ্গে আলোচনা হবে সহযোগিতার কাঠামো নির্ধারণের জন্য।”
এর আগে গত ২৫ জুন ইরানের পার্লামেন্ট জাতিসংঘের এই পারমাণবিক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার আইন পাস করে। তখন তেহরান অভিযোগ করে, সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় আইএইএ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে।
ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে আরাগচি বলেন, “তারা স্ন্যাপব্যাক মেকানিজমের কথা তুলেছে, কিন্তু আমাদের অবস্থান হলো এটি প্রাসঙ্গিক নয়। আমাদের মতে, ইউরোপ এখন আর জেসিপিওএ-এর (২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি) অংশীদার নয়।”
২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির ইউরোপীয় স্বাক্ষরকারীরা সতর্ক করেছিল, তেহরান আলোচনায় না ফিরলে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হবে।
প্রসঙ্গত, ওমানের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার সময়, গত ১৩ জুন ইসরায়েল হঠাৎ তেহরানে সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক স্থাপনা, শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। প্রত্যুত্তরে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, আর যুক্তরাষ্ট্র বোমা বর্ষণ করে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায়। ১২ দিনব্যাপী এ সংঘাতের অবসান ঘটে ২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুক্তরাষ্ট্র-স্পন্সর করা যুদ্ধবিরতিতে।
ইউটি/টিএ