গত কয়েকদিন আগেই বাবাকে হারিয়েছেন চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাবাকে নিয়ে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করতে দেখা যাচ্ছে এই নায়িকাকে।
তবে এসবের মাঝেই নতুন বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মিষ্টি জান্নাত জানালেন, বাবার মৃত্যুর পর ভেঙে পড়ায় অনেকেই বলছেন- শাকিব খানের কারণে নাকি কষ্ট পাচ্ছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাতে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই নায়িকা। যেখানে শাকিব খানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মিষ্টি জান্নাত লিখেছেন, আমার বাবা আজ ১৪ দিন হলো এই পৃথিবীতে নেই। আমি আমার বাবা-মায়ের রাজকন্যা। আমার পৃথিবী বলতে তারা দু’জনই। আমার কোনো আপন ভাইবোন নেই (যদিও আমার কাজিনরা আপন ভাইবোনের চেয়েও বেশি)। কোনোভাবেই আমি বা আমার পরিবার এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারছি না।
‘এর মধ্যে শাকিব খান আর আমাকে নিয়ে কত নিউজ হচ্ছে- বলছে, আমার নাকি মন খারাপ শাকিব খানের জন্য! আমি আমার বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেই, আর তারা বলে আমি নাকি শাকিবের জন্য সুসাইড করতে যাচ্ছি! ভাই, আমার বাবার খবর শুনে শাকিব খান থেকে শুরু করে প্রায় সব তারকা, পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পী, সাংবাদিক- সবার দুঃখের মেসেজ পেয়েছি। কেউ কল করেছেন। কিন্তু আমি রিপ্লাই দিতে পারিনি। এখনও আমি কারও সাথে যোগাযোগ, কথা বলা বা তর্ক করার মানসিকতায় নেই।’
মিষ্টি জান্নাতের অনুরোধ, আমাকে নিয়ে এইসব ফালতু কমেন্ট, স্ট্যাটাস, নিউজ, ব্লগ করা বন্ধ করুন! কারও সাথে কোনো কিছু নিয়ে আমার কোনো পরিস্থিতি নেই। মিডিয়ার সবার সাথে আমার ভালো ফ্রেন্ডশিপ আছে। কিছু মানুষ আমাকে দেখতে পারে না- কারণ আমি তাদের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর, যোগ্য এবং মানসম্পন্ন। তাই তারা আমার স্ট্যাটাসে পৌঁছাতে পারে না, পারবেও না- এই কারণে দূর থেকে টাকা দিয়ে বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক (লেডিজ) দিয়ে আমার বিরুদ্ধে লোক লাগায়।
এইসব যারা করছে, সবার প্রমাণ রেখে দিয়েছি- প্রয়োজনে কাজে লাগাবো। শাকিব খানের সাথে আমার অনেক ছবি আছে- তাতে কী? বারবার কিসের প্রমাণ চান? আমি তার ব্যাপারে আর কোনো মন্তব্য বা কথা বলতে চাই না। আমি আপাতত কোনো কিছুর মন-মানসিকতায় নেই। একটু থামুন- অনেক হয়েছে।
সবশেষ এই নায়িকা লিখেছেন, আপনাদের কি বাবা-মা নেই? তারা যখন থাকবেন না, তখন বুঝতে পারবেন পৃথিবীটা কত কঠিন! বাবা ছিলেন- বুঝতে পারিনি কিছু। বাবা-মা থাকলে সব কিছু এমনিতেই হয়ে যায়। এখন বুঝতে পারছি। আর কিছু বাঙালি জাতির চেয়ে রাস্তায় পশুও মানুষের মন ও কষ্ট বোঝে। শান্তি দিন চাই, শান্তি দিন।
কেএন/এসএন