দুই মৌসুম পর আবার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলছেন সাকিব আল হাসান। ফেরার ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। বল হাতেও পাননি সাফল্য। সাকিবের এমন পারফরম্যান্সের দিনে ৬ উইকেটে হেরেছে তার দল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্স। এতে ২০২১ সালের ফাইনালের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে জিতল সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে আগে ব্যাট করে ১৭.১ ওভারে ১২১ রানে অল আউট হয় বারবুদা। জবাবে ১৫ ওভারে মাত্র চার উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছায় প্যাট্রিয়টস।
রান তাড়া করতে নেমে এভিন লুইস ও আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাটে ভালো শুরু পায় সেন্ট কিটস। ইমাদ ওয়াসিম প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দিলেও পরের দুই ওভারে জেইডেন সিলস ও মোহাম্মদ গাজানফার দেন ৩০ রান। পরের ওভারে সেন্ট কিটসের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ওবেদ ম্যাককয়। বাঁহাতি পেসারের স্লোয়ারে মিড অনে সাকিবের হাতে ক্যাচ দেন ১৩ বলে ২৫ রান করা লুইস।
তিনে নেমে ভালো শুরু পান কাইল মেয়ার্সও। যদিও তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি রাহকিম কর্নওয়াল। পাওয়ার প্লে শেষেই মেয়ার্সকে ফেরান তিনি। ডানহাতি অফ স্পিনারের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বড় শট খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ৮ বলে ১৫ রান করে। রানের খাতা খোলার আগে একই ওভারে রাইলি রুশোকেও ফিরিয়েছেন তিনি।
আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের আভাস পাওয়া গেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখেশুনে খেলতে থাকেন ফ্লেচার। ইনিংসের দশম ওভারে এসে তাকে আউট করেন গাজানফার। স্কুপ করতে গিয়ে ২৬ বলে ১৯ রান করে এই ব্যাটার বোল্ড হন। অ্যাথানাজে ও হোল্ডার মিলে বাকি সময় অবিচ্ছিন্ন থেকে সেন্ট কিটসের জয় নিশ্চিত করেন। অ্যাথানাজে ৩৭ ও হোল্ডার ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অ্যান্টিগার শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন জোয়েল অ্যান্ডু। রানের খাতা খোলার আগেই মেয়ার্সের ফুলার লেংথ ডেলিভারি অন সাইডের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় গুলির হাতে ক্যাচ দেন তিনি। একটু পর আউট হন আরেক ওপেনার কর্নওয়ালও। ৬ বলে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি ডানহাতি এই ওপেনার।
একপ্রান্ত আগলে রেখে অ্যান্টিগার রান বাড়িয়েছেন কারিমা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন তিনি। ফারুকির স্লোয়ার ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন কারিমা। দলের আর কেউই বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি।
ছয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সাকিবও। শুরুতে দেখেশুনে খেললেও রান তোলার চেষ্টায় সালামখিলকে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ফেরার আগে ১৬ বলে ১১ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। বল হাতে এক ওভার হাত ঘুরিয়ে ৬ রান খরচ করলেও উইকেট পাননি তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্স- ১২১/১০ (১৭.১ ওভার) (কারিমা ৬১, ফ্যাবিয়ান ১২, সাকিব ১১, ইমাদ ১১; সালামখিল ৪/২২)
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস- ১২৫/৪ (১৫ ওভার) (লুইস ২৫, ফ্লেচার ১৯, মেয়ার্স ১৫, অ্যাথানাজে ৩৭*, হোল্ডার ১৮*; কর্নওয়াল ২/১৯)
এসএন