প্রোটিন হল আমাদের শরীরের এক অন্যতম প্রধান গঠন উপাদান। এটি শুধু পেশি তৈরি করে না, হাড়, ত্বক, চুল ও মস্তিষ্ককে শক্তিশালী রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের দিনে প্রায় ৪৬ গ্রাম এবং পুরুষদের ৫৬ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু যদি শরীর নিয়মিত প্রয়োজনীয় পরিমাণ প্রোটিন না পায়, তাহলে ধীরে ধীরে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।চলুন, জেনে নিই।
ফোলাভাব
হাত, পা বা পেটে অস্বাভাবিক ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। প্রোটিন রক্তে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে। ঘাটতি হলে সেই ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় এবং টিস্যুতে পানি জমে শরীর ফুলে যেতে পারে।
মন-মেজাজ খারাপ বা বিষণ্ণতা
প্রোটিনে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ কেমিক্যাল (যেমন: ডোপামিন, সেরোটোনিন) তৈরিতে সাহায্য করে। এর অভাবে খিটখিটে মেজাজ, দুঃখবোধ কিংবা হতাশা দেখা দিতে পারে।
ঘুমের পরেও ক্লান্তিভাব
যদি আপনি অনেক ঘুমিয়েও ক্লান্ত অনুভব করেন, তার পেছনে প্রোটিনের অভাব থাকতে পারে। কারণ প্রোটিন শরীরে শক্তি তৈরিতে সহায়তা করে—ঘাটতি হলে দেখা দেয় দুর্বলতা ও মানসিক অবসাদ।
চুল পড়া, ত্বকের শুষ্কতা ও নখ ভেঙে যাওয়া
চুল, ত্বক ও নখের গঠনে প্রোটিনে থাকা কেরাটিন ও কোলাজেন গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনের অভাবে চুল পাতলা হয়ে যায়, ত্বক শুষ্ক হয় ও নখ দুর্বল হয়ে ভেঙে পড়ে।
প্রায়ই ক্ষুধা পাওয়া
প্রোটিন পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে। ঘাটতি হলে ক্ষুধা বারবার জাগে এবং অপ্রয়োজনীয় খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে।
অনেক সময় এই উপসর্গগুলোকে আমরা হালকাভাবে নিই, কিন্তু দীর্ঘ সময় উপেক্ষা করলে মারাত্মক সমস্যা, যেমন কোয়াশিওরকর এর মতো পুষ্টিহীনতা দেখা দিতে পারে।
প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে কী খাবেন?
ডাল, ডিম, দুধ, মাছ ও মুরগির মাংস, সয়া ও পনির, বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের শুকনা ফল।
এফপি/এসএন