ভারত তার দেশের মানুষের স্বার্থে যেখান থেকেই সবচেয়ে ভালো দাম পাবে সেখানেই তেল কেনা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার। সোমবার (২৫ আগস্ট) বিবিসির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিনয় কুমারের এই বক্তব্য এমন সময় দেয়া হলো যখন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ কার্যকর হওয়ার মাত্র কয়েকদিন বাকি। ২৭ আগস্ট থেকে ভারতের ওপর মোট ৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক কার্যকর হবে।
রোববার বিনয় কুমার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় তাস সংবাদ সংস্থাকে বলেন যে, ভারতের বাণিজ্য বাজারের বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে এবং তাদের অগ্রাধিকার হলো ১৪০ কোটি জনগণের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা। তিনি ভারতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন বলেন, ট্রাম্পের সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত অন্যায়, এবং অযৌক্তিক।
এদিকে, রোববার মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ট্রাম্প রাশিয়ার উপর আক্রমণাত্মক অর্থনৈতিক প্রভাব প্রয়োগ করতে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্য ভারতের উপর দ্বিতীয় শুল্ক ঘোষণা করেছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল আমদানি বৃদ্ধি করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে এবং বাণিজ্য চুক্তির আলোচনাকে প্রভাবিত করেছে।
২০২৪ সালে ভারতের তেল আমদানির ৩৫-৪০ শতাংশ ছিল রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল, যা ২০২১ সালে ছিল মাত্র ৩ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে যে, ভারত রাশিয়ান তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধের তহবিল বাড়াতে সহায়তা করছে। তবে দিল্লি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কেনার বিষয়ে জোরালোভাবে সমর্থন করার কয়েক ঘন্টা পরেই কুমারের এই বিবৃতি আসে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত ইউক্রেনের সাথেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যেখানে রাশিয়া তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।
দিল্লি বারবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু পশ্চিমাদের চাপ সত্ত্বেও রাশিয়ার প্রকাশ্য নিন্দা এড়িয়ে গেছে।
ইএ/টিকে