যিশুহীন সংসারে দুই মেয়েকে নিয়ে নীলাঞ্জনার ধুমধাম গণেশ পুজো

দীর্ঘ দুই দশকের দাম্পত্যের ভাঙন যেন একসময় নীলাঞ্জনা শর্মার পৃথিবীটাকেই ওলটপালট করে দিয়েছিল। সেইসঙ্গে মাতৃবিয়োগের যন্ত্রণা তাঁকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছিল অনেকটাই। কিন্তু সবকিছু কাটিয়ে ধীরে ধীরে নিজের জীবনকে নতুন করে সাজিয়েছেন এই প্রাক্তন অভিনেত্রী। এখন তিনি শুধু দুই মেয়ে সারা ও জারাকে আঁকড়ে ধরে এগিয়ে চলছেন, পাশাপাশি ধারাবাহিক প্রযোজনার কাজেও সফলভাবে যুক্ত রয়েছেন।

যিশুহীন সংসারে এই প্রথম বড় করে গণেশ পুজোর আয়োজন করলেন নীলাঞ্জনা। দুই মেয়ে সারা ও জারাকে নিয়ে ধুমধাম করে পূজার আয়োজন করেন তিনি। মুম্বইয়ে কর্মসূত্রে থাকা বড় মেয়ে সারা বিশেষভাবে বাড়ি ফিরেছিলেন মায়ের সঙ্গে পুজো করতে। কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা আনা থেকে শুরু করে পূজার নানা আচার অনুষ্ঠান সবেতেই দুই বোনকে সক্রিয় দেখা গেছে। সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নেওয়া সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, মা ও দুই কন্যা একই রঙের হলুদ পোশাকে সেজেছেন। কখনও নারকেল ফাটিয়ে পূজার শুভসূচনা করছেন নীলাঞ্জনা, কখনও ভক্তিভরে আরতি করছেন সারা-জারা। রূপোর থালায় পঞ্চব্যঞ্জনের ভোগ সাজানো হয়েছে পূজামণ্ডপে। এমনকি তাঁদের আদরের পোষ্য এবং নীলাঞ্জনার বাবাকেও উপস্থিত দেখা গেছে অনুষ্ঠানে। বিদায় লগ্নে গণপতির কানে তাঁরা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন “আসছে বছর আবার আসিস।” বাড়ির অস্থায়ী পুকুরেই বিসর্জন দেওয়া হয়েছে প্রতিমা।



অন্যদিকে যিশু সেনগুপ্ত ব্যস্ত রয়েছেন তাঁর প্রযোজনা সংস্থার নানা কাজে। সম্প্রতি তাঁর প্রযোজনায় তৈরি পুজোর মিউজিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। এছাড়াও তিনি বলিউড অভিনেতা ইমরান হাসমির সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনী ভিডিও শুট করছেন।

যিশু-নীলাঞ্জনার দাম্পত্য ভাঙনের গুঞ্জন যদিও অনেক দিন ধরেই টলিপাড়ায় শোনা যাচ্ছে, তবে এ নিয়ে তাঁরা মুখ খোলেননি। একসময় ‘আদর্শ দম্পতি’র উদাহরণ হিসেবে যাঁদের দেখা হতো, তাঁদের আলাদা হয়ে যাওয়ার খবর অনুরাগীদের মন ভেঙেছে। তবে নীলাঞ্জনার জীবনে এখন তাঁর দুই মেয়েই সবকিছু। আর যিশুও নিজস্ব জগতে ব্যস্ত। জীবন যে এগিয়ে চলে, তা তাঁদের দুই জীবনের ভিন্ন ভিন্ন পথে চলার গল্পই প্রমাণ করে দিচ্ছে।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
একফ্রেমে ধরা দিলেন শাকিব-ববি Oct 17, 2025
img
কিডনির যত্নে সতর্কতা, ভিটামিন ডি ব্যবহারে ভুল হলেই বিপদ Oct 17, 2025
img
পান মশলার বিজ্ঞাপন নিয়ে ফের সমালোচনার মুখে বলিউড বাদশা Oct 17, 2025
img
দেশে এখন সবকিছু গডফাদার কেন্দ্রিক হয়ে গেছে : গোলাম মাওলা রনি Oct 17, 2025
img
ত্রিপুরায় ৩ বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিবৃতি দিলো সরকার Oct 17, 2025
img
আত্মপ্রকাশ করলো ‘জাতীয় শ্রমিক শক্তি’ সংগঠন Oct 17, 2025
img
তিন নায়িকার নামে জাল ভোটার কার্ড,তদন্তে নেমেছে নির্বাচন কমিশন Oct 17, 2025
img
কিছু রাজনৈতিক দলের জুলাই সনদে সই করার নাম জাতীয় ঐক্য নয়: নাহিদ Oct 17, 2025
img
নেপালের প্রথম এভারেস্টজয়ী দলের শেষ জীবিত সদস্য কাঞ্চা শেরপা আর নেই Oct 17, 2025
img
রাকসুতে ছাত্রদল প্যানেল থেকে একমাত্র বিজয়ী নার্গিস Oct 17, 2025
img
ভারত সিরিজের আগে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া Oct 17, 2025
img
শিক্ষার্থীদের রায়ই চূড়ান্ত, আপনাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ : এষা Oct 17, 2025
img
রুশ তেল নিয়ে ট্রাম্প-মোদী ফোনালাপই হয়নি, দাবি ভারতের Oct 17, 2025
img
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি অনেকটাই ন্যায্য : উপ প্রেস সচিব Oct 17, 2025
img
জুলাই শহীদ পরিবারদের অবস্থান, সংসদ ভবনে ‘জুলাই সনদ’ অনুষ্ঠানের অচলাবস্থা Oct 17, 2025
img
রাকসুর জিএস পদে জয়ী সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার Oct 17, 2025
img
আমি ১৬ মাসের গর্ভবতী : সোনাক্ষী সিনহা Oct 17, 2025
img
জাতীয় সংসদের ১২ নম্বর গেটে বসে পড়েছেন জুলাই যোদ্ধারা Oct 17, 2025
img
সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা Oct 17, 2025
img
জামায়াত একটা ঐতিহাসিক ভুল করতে যাচ্ছে : জাহেদ উর রহমান Oct 17, 2025