৪৫ টাকা কেজিতে পাতাসহ পেঁয়াজ

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় জয়মন্ডপ বাজার। যেখানে পাতাসহ কেজি প্রতি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, বর্তমানে সারা দেশেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। আর দাম বেশি পাওয়ায় চাষিরা ক্ষেত থেকে অপরিপক্ব পেঁয়াজ তুলেই বাজারে পাঠাচ্ছেন। তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজ আনতেই ব্যাপারি ও ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। স্থানীয় বাজারগুলোতে দুই সপ্তাহ ধরে পাওয়া যাচ্ছে নতুন এই পেঁয়াজ।

উপজেলার জয়মন্ডপ ইউনিয়নের নয়াডাঙ্গী গ্রামের কৃষক কেরামত আলী। এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ করেছিলেন আগাম জাতের পেঁয়াজ। বাজারে ভালো দাম থাকায় এবার আগে ভাগেই ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলছেন তিনি। তা বিক্রি করেছেন স্থানীয় জয়মন্ডপ বাজারে। অর্ধেক জমির পেঁয়াজ প্রায় ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। পেঁয়াজের ভালো দামে তিনি বেশ খুশি।

আরেক কৃষক দুলাল শেখ জানান, দাম ভালো থাকার কারণেই তারা ক্ষেত থেকে আগে ভাগেই পেঁয়াজ তুলছেন। অনেকে এই পেঁয়াজটা দুই সপ্তাহ পর তুলবেন। আবার ক্ষেত থেকে পাকিয়েও তুলবেন অনেকে। গত বছর এই সময় পেঁয়াজের দাম ছিল মাত্র ১৫ টাকা কেজি। বর্তমানে কাঁচা পেঁয়াজই ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বেশ চাহিদা। নিয়ে যাওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায়।

চর দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক আছর উদ্দিন জানান, গত বছর এই সময় প্রতি কেজি পেঁয়াজ তারা বিক্রি করেছেন মাত্র ১৫ টাকা কেজিতে। এ কারণে অনেকেই আগাম পেঁয়াজ চাষ করেননি। তবে যারাই করেছেন তারাই এবার লাভবান।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান জানান, ভৌগোলিক কারণে কিছুটা উঁচুতে অবস্থিত জয়মন্ডপ ইউনিয়ন। তাই রবিশস্য বা শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করেন এখানকার কৃষকরা। এখানকার সবজি রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে যায়।

তিনি বলেন, এবার মুড়ি জাতের পেঁয়াজ চাষ করে কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছেন। স্থানীয় বাজারগুলোতেও অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। যেখানে শুকনো পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কোজিতে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে প্রতি কেজি পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪৫-৫০ টাকা দরে।

সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান স্বপন জানান, অস্থির বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের জোগান এটা ভালো একটা দিক। মানুষ অর্ধেক দামে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।

এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, পাতা পেঁয়াজ ওঠানোর পর কৃষকরা সেই জমিতে পুনরায় পেঁয়াজ চাষ করবেন। তাই পেঁয়াজ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: