ভেনেজুয়েলায় জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে ভেনেজুয়েলায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল ক্রিনারকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভেনেজুয়েলা ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রশাসন৷ খবর ডয়চে ভেলের।

ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জার্মান রাষ্ট্রদূত বারবার ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছেন, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক আইনের লঙ্ঘন৷

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিরোধী রাজনৈতিক উগ্রপন্থিদের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের সংশ্লিষ্টতা সরকার মেনে নেবে না।’

ড্যানিয়েল ক্রিনারকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সরকার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের এ ঘটনা ভেনেজুয়েলায় বিদ্যমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে৷

ড্যানিয়েল ক্রিনার প্রায় এক বছর আগে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন৷ সোমবার দক্ষিণ আমেরিকা সফর শেষে দেশে ফেরত আসা ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদোকে অভ্যর্থনা জানাতে ভেনেজুয়েলায় নিযুক্ত আরো কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন৷

গতবছর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে সম্প্রতি নিজেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন গুয়াইদো৷

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ প্রায় ৫০টি দেশ নতুন করে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ প্রয়োগ করছে৷

এ পরিস্থিতিতে, স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মাদুরো প্রশাসন৷ কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১০ দিনের সফরে দক্ষিণ অ্যামেরিকার মিত্র দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন গুয়াইদো৷

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে গুয়াইদোকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের জন্য হুমকি৷ জার্মান রাষ্ট্রদূত এখানে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছিলেন৷ কিন্তু এখন মনে হচ্ছে মাদুরো প্রশাসন ভেনেজুয়েলাকে সাহায্য করছে, এমন কাউকেই ক্ষমা করবে না।’

মাদুরো প্রশাসনের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়াতে ইউরোপের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন গুয়াইদো৷

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিশ্বাস ছিল যে ২৪৮ রান আমরা ডিফেন্ড করতে পারব : মিরাজ Jul 06, 2025
img
আরব্য রজনীর রূপে নেটিজেনদের নজর কাড়লেন টিনা দত্ত Jul 06, 2025
img
সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে : আমিনুল হক Jul 06, 2025
img
আমার মনে হয়, ইলিয়াস আলীকে ভারতের কোনো একটি কারাগারে রাখা হয়েছে : এম এ মালেক Jul 05, 2025
img
দীর্ঘ বিরতির পর সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করছে ব্রিটেন Jul 05, 2025
img
শ্রীলঙ্কাকে হারানোর দিনে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ তানভীর Jul 05, 2025
img
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল টাইগাররা Jul 05, 2025
img
বাংলাদেশে পুশইনের জন্য বিশেষ বিমানে ২০০ জনকে সীমান্তে আনল ভারত Jul 05, 2025
img
ইরান থেকে সরে গেলেন জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষকরা Jul 05, 2025
img
ফারিন খানের পোস্ট ঘিরে জল্পনা, কী ইঙ্গিত দিলেন অভিনেত্রী? Jul 05, 2025
img
টলিউডের প্রিয় ‘এজেন্ট সাই’ আবারো ফিরছে বড় পর্দায় Jul 05, 2025
img
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্ম বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে উঠেছে : নাহিদ ইসলাম Jul 05, 2025
img
গ্ল্যামার ছেড়ে শক্তিশালী চরিত্রে মানুষী Jul 05, 2025
img
'জুলাইয়ের মতো আগামী নির্বাচনে তরুণদের নেতৃত্বে ভোট বিপ্লব ঘটবে' Jul 05, 2025
img
সেখর কম্মুলার হাত ধরে বড়পর্দায় ফের সামান্থা Jul 05, 2025
img
পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত: সুপ্রদীপ চাকমা Jul 05, 2025
img
রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে জনতা ব্যাংকের ডিজিএম নিখোঁজ Jul 05, 2025
img
সকাল ৯টার মধ্যে দেশের ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 05, 2025
img
বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের ইনিংসের রেকর্ড ভেঙে দিল ইংল্যান্ড Jul 05, 2025
img
ম্যাক্সওয়েলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় পেল ওয়াশিংটন Jul 05, 2025