মিয়ানমারে অস্ত্র রপ্তানিতে ইইউর নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারে অস্ত্র রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা নৃশংসতায় অভিযুক্তদের আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করা, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা এবং নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দিয়েছে ইইউ।

বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অধিবেশনে ‘মিয়ানমার, বিশেষভাবে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনার পর এই প্রস্তাব পাস করা হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ৫৪৬ জন। অনুপস্থিত ছিলন ৯৪ সদস্য। বিপক্ষে ভোট দেন ১২ জন। এ সময় অন্তত ১২ জন পার্লামেন্ট সদস্য রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দেন।

ইইউর পার্লামেন্ট সদস্য উরমাস পায়েট বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব এবং নাগরিক অধিকারের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবশ্যই কাজ করে যাবে। রোহিঙ্গা বিরোধী নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমার সরকার ও দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের মতো সব ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে ইইউ।

নিনা গিল বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ একা নয়। তারা বিশাল এ জনগোষ্ঠীকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে। রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

ফিল ব্যানন বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার রয়েছে। প্রত্যাবাসন বেগবান করতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ, ভূমি অধিকার ফিরিয়ে দেয়া জরুরি। আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিজ দেশের নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করবে মিয়ানমার।

 

টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on: