গত রোববার (৩১ আগস্ট) লিগস কাপের ফাইনালে ইন্টার মায়ামিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে সিয়াটল সাউন্ডার্স। লুমেন ফিল্ডের সেই ম্যাচে অন্যরকম বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। ম্যাচ শেষে সিয়াটল সাউন্ডার্সের এক স্টাফের দিকে থুথু ছোড়েন তিনি। যে ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ড। অবশেষে সেই ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সুয়ারেজ লিখেছেন, ‘এটা ছিল প্রচণ্ড উত্তেজনা ও হতাশার এক মুহূর্ত, যেখানে ম্যাচ শেষে এমন কিছু ঘটে গেছে যা কখনোই হওয়া উচিত নয়। তবে আমার প্রতিক্রিয়ার কোনো অজুহাত নেই। আমি ভুল করেছি এবং আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর পরই মূল ঘটনা ঘটে। এ সময় সিয়াটল সাউন্ডার্সের তরুণ মিডফিল্ডার ওবেদ ভার্গাসকে লক্ষ্য করে ছুটে যান সুয়ারেজ। এরপর মাঠে শুরু হয় দুজনের হাতাহাতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই দলের কর্তারা ছুটে আসেন। তখনই ক্যামেরায় ধরা পড়ে, সাউন্ডার্সের দলের এক স্টাফের দিকে থুথু ছুড়েছেন সুয়ারেজ।
এ ঘটনায় লিগস কাপ ও মেজর লিগ সকার কতটা শাস্তি দেবে তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। এদিকে ঘটনার জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে সুয়ারেজ আরও লিখেছেন, ‘যা হয়েছে তার জন্য আমি ভীষণ খারাপ বোধ করছি। আমি ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। যারা আমার আচরণে কষ্ট পেয়েছেন, তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
এদিকে সুয়ারেজের ক্লাব ইন্টার মায়ামি এই ঘটনায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এ ধরনের আচরণ আমাদের খেলার মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে না। মাঠের ভেতরে ও বাইরে সর্বোচ্চ স্পোর্টসম্যানশিপ বজায় রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঘটনাটি যথাযথভাবে সমাধানের জন্য লিগস কাপ ও এমএলএস কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।’
লুইস সুয়ারেজকে নিয়ে বিতর্কের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির জর্জিও কিয়েলিনিকে কামড় দেয়ার ঘটনায় চার মাসের জন্য ফুটবল থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন তিনি। এর আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২০১১ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরাসি তারকা প্যাট্রিস এভ্রাকে বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগে আট ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয় তাকে।
ইএ/এসএন