ছাত্রলীগের সবাই শিবিরকে ভোট দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তার মতে, ছাত্রদলকে পরাজিত করতে শিবিরের সঙ্গে পুরনো বন্ধুত্বের সম্পর্ক জারি রেখেছে ছাত্রলীগ। গতকাল একটি টক শোতে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘যেহেতু ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ এবং ছাত্রলীগের সাথে তাদের অনেকেই মিলেমিশে ছিল, একটা তো সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বন্ধুত্ব তাদের অনেকের সাথে ছিল ।ছাত্রলীগের ভোট তো কোথাও না কোথাও যাবে। একটা ওল্ড টাই ওল্ড রিলেশন এগুলো তো একটা ব্যাপার থাকে। সেটার কারণে যদি পুরনো বন্ধুত্বের কারণে সম্পর্কের কারণে কারণে যদি ওদের দিকে কিছু ভোট বাড়েও।’
ছাত্রশিবিরের সাথে ছাত্রলীগের সক্ষ্যতা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিবির একসময় ছাত্রলীগের নাম ধারণ করে সেখানে ছিল, পদে ছিল, তারপরে ওখানে শেখ মুজিবের ভাস্কর্যের সাথে সামনে রেখে ছবি তুলেছে, তাদের নেতাদের সাথে ছবি তুলেছে।
মানে এই অভিযোগগুলো তাদের বেলায় তো আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখলাম। আমরা তো অনেক সিনিয়র। আমরা তো ক্যাম্পাসে থাকি না তাই না? সারাক্ষণ তো আর ওইভাবে সোশ্যাল মিডিয়া দেখি না। এই অভিযোগগুলো তাদের বিরুদ্ধে আছে।
এই অভিযোগ তারা খুব বেশি রিফিউজ করতে পারে নাই। অস্বীকার করতে পারে নাই। কারণ ছবিসহ তাদের পুরনো ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তো ফলে একটা সম্পর্ক তো থাকেই।’
বিএনপিকে প্রতিদ্বন্দী মনে করে আওয়ামী লীগ এখন শিবিরকে সাপোর্ট দিচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাথে তো শিবিরের একটা স্বাচ্ছন্দের সম্পর্ক ছিল, দীর্ঘদিনের একটা গুপ্ত বা গোপনীয় সম্পর্ক ছিল।
ছাত্রলীগের যেহেতু এখন ভোট দেয়ার কোনো বাক্স নাই, তারা তো শিবিরকে সাহায্য করবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তারা আমাদের অঙ্গ সংগঠন না, গঠনতান্ত্রিকভাবে আমাদের সহযোগী সংগঠন। মূল দল তো বিএনপি আমাদের। তো সেই দলটির যেহেতু একটা পরবর্তীতে সরকার পরিচালনার একটা সম্ভাব্য অবস্থান আছে। সেই কারণে আওয়ামী লীগ তো স্বাভাবিকভাবেই বিএনপিকেই প্রতিদ্বন্দী মনে করবে। সুতরাং বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে এটা তো সবচেয়ে আওয়ামী লীগ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বোধ করবে। সুতরাং বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার পথটা যাতে অমসৃন থাকে, বাধাগ্রস্ত হয়, একটু চাপে থাকে- এই ধরনের একটা চেষ্টা তো তাদের ছাত্রলীগের পক্ষে তাদের মুরুব্বীদের তরফ থেকে তো এডভাইস তো থাকতেই পারে।
এসএস/এসএন