এই এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের লড়াইয়ের ইতিহাসও পাকিস্তানের পক্ষে নয়— ১৫ ম্যাচে ভারতের জয় ১২টিতে, পাকিস্তানের মাত্র ৩টিতে। তবুও আসন্ন ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাসের পারদ উঁচুতে সালমান আলি আগার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের ম্যাচও একপর্যায়ে হাতছাড়া মনে হচ্ছিল পাকিস্তানের।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৩৫ রানেই থেমে গিয়েছিল দলটি। কিন্তু দুর্দান্ত বোলিং ও শৃঙ্খলাপূর্ণ ফিল্ডিংয়ে ১১ রানের দারুণ জয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে তারা।
ব্যাটিং ব্যর্থতা স্বীকার করেও জয়ের কৃতিত্ব সতীর্থদের দিয়েছেন সালমান, ‘আমাদের অন্তত ১০-১৫ রান কম হয়েছে, এটা মানতেই হবে। তবে জানতাম, যদি নতুন বলে ভালো বল করতে পারি, চাপ তৈরি করা যাবে।
আর চাপ তৈরি করতে পারলেই রান তাড়া করা কঠিন হয়ে যায়। ছেলেরা নতুন বলে দারুণ করেছে, আর সেটিই জয় এনে দিয়েছে।’
শাহিন শাহ আফ্রিদি ছিলেন পাকিস্তানের জয়ের নায়ক। ব্যাট হাতে ছোট্ট ঝলক দেখানোর পর (১৯ রান, ২ ছক্কা) বল হাতে নিয়েছেন তিন উইকেট।
তার সঙ্গী হয়েছেন হারিস রউফও তিনিই নিয়েছেন আরো তিন উইকেট।
দলীয় প্রচেষ্টাকে আলাদা করে তুলে ধরলেন পাকিস্তান অধিনায়ক, ‘এই ধরনের ম্যাচ জেতা মানে দলটা বিশেষ কিছু করছে। সবাই কিছু না কিছু অবদান রেখেছে। শাহিন, হারিস—সবার পারফরম্যান্স দারুণ ছিল। আমরা জয়ের উপায় খুঁজে নিচ্ছি নানাভাবে।
ফাইনালে আরো ভালো করব।’
ফাইনাল নিয়ে উচ্ছ্বাস লুকোচ্ছেন না সালমান, ‘খুবই রোমাঞ্চিত। আমরা জানি আমাদের কী করতে হবে। এই দল যে কাউকে হারাতে পারে, আর রোববার মাঠে নেমে সেটাই প্রমাণ করব।’
দুবাইয়ে রোববার এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। ভারতকে হারানোর মন্ত্র জানা আছে কিনা তা প্রমাণ হবে ম্যাচের পরই।