যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ফিলিস্তিনি

ইসরায়েলের বিধ্বংসী গাজা যুদ্ধের পরিণতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)। ধ্বংসস্তূপ অপসারণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, এবং গাজা পুনর্গঠন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা এর অন্তর্ভুক্ত বলে বৃহস্পতিবার প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশনের নির্বাহী কমিটি জানিয়েছে। আনাদোলুর বরাত দিয়ে খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।

রামাল্লায় এক বৈঠক শেষে দেওয়া বিবৃতিতে নির্বাহী কমিটি জানায়, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ‘বিধ্বংসী যুদ্ধের পরিণতি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে -যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া এবং মিশরের সহযোগিতায় গাজা পুনর্গঠন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন দ্রুত আয়োজন করা।

বৃহস্পতিবার মিশরের লোহিত সাগর উপকূলীয় শহর শারম আল-শেখে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের দুই বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করা হয়।

নির্বাহী কমিটি মিশরের আহ্বানে সব ফিলিস্তিনি দল ও গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি জাতীয় সংলাপ শুরু করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা এটিকে ‘দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ঐক্য জোরদারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়ার’ সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা বিষয়ে ২০ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।

এর মধ্যে রয়েছে -সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া বিনিময়ে প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, এবং ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার।

পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে হামাসকে বাদ দিয়ে গাজায় নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠন, ফিলিস্তিনি ও আরব-ইসলামী দেশগুলোর যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আরব ও ইসলামী দেশগুলোর অর্থায়নে গাজা পুনর্গঠন এবং সীমিত আকারে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণেরও উল্লেখ রয়েছে।

আরব ও মুসলিম দেশগুলো পরিকল্পনাটিকে স্বাগত জানিয়েছে, যদিও অনেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে এর বহু বিষয় বাস্তবায়নের আগে আরও আলোচনা ও সমঝোতার প্রয়োজন রয়েছে।

পিএ/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাই সনদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি : রিজভী Oct 10, 2025
img
শিশু শান্তি ‘নোবেল’ পুরস্কারে মনোনীত সাতক্ষীরার সুদীপ্ত Oct 10, 2025
img
বড় ঘোষণা দিলেন জয়শঙ্কর Oct 10, 2025
img
শুরুর একাদশে খেলতে আগ্রহী জামাল, সঙ্গে শমিত-জায়ান Oct 10, 2025
img
ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে : দুদু Oct 10, 2025
img
জুলাই-আগস্টে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়লো ২০৪ মিলিয়ন ডলার Oct 10, 2025
img
আর নেই সালমানের সহ-অভিনেতা Oct 10, 2025
img
মাঠের নীরবতা নিয়ে ইংলিশ সমর্থকদের ওপর চটেছেন টুখেল Oct 10, 2025
img
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযুক্তরা দায়মুক্তি পাচ্ছেন : আসিফ নজরুল Oct 10, 2025
img
সাভারে কোটি টাকার বিষ্ণু মূর্তিসহ গ্রেপ্তার ১ Oct 10, 2025
img

নোবেল শান্তি পুরস্কার

নাম ঘোষণার আগমুহূর্তে ট্রাম্পের পক্ষে রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট! Oct 10, 2025
img
জুলাই সনদের স্বাক্ষরকে ইতিবাচক দেখছে বিএনপি: রিজভী Oct 10, 2025
img
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত কারাগারে আটক থাকা চিকিৎসক আবু সাফিয়া Oct 10, 2025
img
আজ জানা যাবে ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পাচ্ছেন কিনা! Oct 10, 2025
img
আমরা তো শাপলা দিতে বাধা দেইনি, ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন? : মির্জা ফখরুল Oct 10, 2025
img
ফি দিতে না পেরে, ভারতে মেঝেতে বসেই পরীক্ষা দিতে হলো ১ শিক্ষার্থীকে! Oct 10, 2025
img
গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য আপনার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য, ফোন কলে ট্রাম্পকে সিসি Oct 10, 2025
img
গাজার সত্য প্রকাশের জন্য আমরা সাংবাদিকদের কাছে ঋণী: পোপ লিও Oct 10, 2025
img
এক চার্জেই মোবাইল ফোন চলবে টানা ৮০ বছর! Oct 10, 2025
img
রাজধানী থেকে বগুড়ার আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার Oct 10, 2025