পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের হুমকির বিপরীতে ভারতের পাল্টা হুঁশিয়ারি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ভারতে পারমাণবিক হামলার হুমকি দেওয়ার পর পাল্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি ভূমি এখন তাদের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালের মধ্যে রয়েছে। এসময় তিনি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র তার প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে এবং বিশ্বজুড়ে ভারতের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকে সুদৃঢ় করেছে।

রাজনাথ সিং ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস লিমিটেডের লক্ষ্মৌ ইউনিটে তৈরি সুপারসনিক ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচটির উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ ব্রহ্মসকে ‘ভারতের ক্রমবর্ধমান দেশীয় শক্তির প্রতীক’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, তাদের ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি এখন ক্ষেপণাস্ত্রটির নাগালে।

বিজেপির এই মন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের বিষয় যে অত্যাধুনিক ব্রহ্মস বুস্টার ভবনটি আজ লক্ষ্মৌতে উদ্বোধন করা হচ্ছে।’

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ এসময় জোর দিয়ে বলেন, ধনতেরাসের দিন (দিওয়ালির প্রথম দিন) চারটি ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ ভারতের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় আত্মনির্ভরতার একটি মাইলফলক, যা একই সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে।

রাজনাথ লক্ষ্মৌ ইউনিটের গতি ও দক্ষতার প্রশংসা করেন। ২০০ একরজুড়ে ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে গত মে মাসে এই ইউনিট উদ্বোধন করা হয়েছিল। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে এটি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচ তৈরি করে সরবরাহ করেছে।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এটি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর জন্য বছরে প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করবে। বছরে এটি ৩ হাজার কোটি টাকার লেনদেন এবং ৫০০ কোটি টাকার জিএসটি রাজস্ব আয় করবে। এই অর্জনের গতি ও দক্ষতা একটি রেকর্ড তৈরি করেছে।

ব্রহ্মসের সক্ষমতার ওপর জোর দিয়ে রাজনাথ বলেন, এর সুপারসনিক গতি, নির্ভুলতা ও দূরপাল্লার আঘাত হানার ক্ষমতা এটিকে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থায় পরিণত করেছে।

রাজনাথ আরও যোগ করেন, লক্ষ্মৌ, কানপুর, আগ্রা, ঝাঁসি, আলিগড় ও চিত্রকূটকে নিয়ে গঠিত প্রতিরক্ষা উৎপাদন করিডরের ছয়টি কেন্দ্রই এখন পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করছে।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশ গরিব না, রাজনীতিবিদরা দুর্নীতিবাজ: কর্নেল অলি Oct 19, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি করে ব্যক্তির জন্য ভোট চাচ্ছে জামায়াত: আবুল খায়ের ভূঁইয়া Oct 19, 2025
img
বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ শিকারের সময় ১৪ ভারতীয় জেলে আটক Oct 19, 2025
img
যারা বিএনপি ও আ. লীগকে এক পাল্লায় মাপতে চায়, তাদের ঈমানে সমস্যা আছে: প্রিন্স Oct 19, 2025
img
বাঙালির ইতিহাসে এত বড় দুর্ঘটনা কখনো ঘটেনি: রনি Oct 19, 2025
img
চেষ্টা করেছি হতাশ না হয়ে ধৈর্য রাখার: রিশাদ Oct 19, 2025
img
পল্লী চিকিৎসকের ধারণা জিয়াউর রহমানের, বিএনপি তা বজায় রাখবে: তারেক রহমান Oct 19, 2025
img
৮ মাস পর দেশে ফিরলেন ভারতের উপকূলে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি ১২ নাবিক Oct 19, 2025
img
৩০ দিন ফাস্টফুড না খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন Oct 19, 2025
img
শত্রুর সঙ্গে থাকা যায় কিন্তু বিশ্বাসঘাতকের সঙ্গে নয়: রিয়া মনি Oct 19, 2025
img
বয়কট করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছে কোয়াব Oct 19, 2025
img
কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ৬ ঘণ্টা পর বিমান চলাচল শুরু Oct 18, 2025
img
আফগানদের না বলায় পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজে সুযোগ পেল জিম্বাবুয়ে Oct 18, 2025
img
আহত জুলাই যোদ্ধা আতিকুলের সার্বিক খোঁজ নিলেন নাহিদ ইসলাম Oct 18, 2025
img
আরাউহোর শেষের গোলে রোমাঞ্চকর জয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা Oct 18, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি Oct 18, 2025
img
রেকর্ডগড়া বোলিংয়ে বাংলাদেশকে জেতালেন রিশাদ, ম্যাচশেষে আবেগঘন প্রতিক্রিয়া Oct 18, 2025
img
মিষ্টি কম দেয়া নিয়ে টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষ Oct 18, 2025
img
আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের আপিল প্রত্যাখ্যান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল Oct 18, 2025
img
‘জুবিনদা আমার কণ্ঠ ছিলেন’ মন্তব্যে কটাক্ষের মুখে দেব Oct 18, 2025