দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সীমার চেয়ে ৫৬ গুণ বেশি

ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা মঙ্গলবার সকালে এতটাই বেড়েছে, যা জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সীমার চেয়ে ৫৬ গুণ বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। হিন্দু উৎসব দীপাবলির ফানুস ও আতশবাজি ব্যবহারের কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।

চলতি মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দীপাবলির সময় আতশবাজি ব্যবহারে কিছু শিথিলতা দেন, যাতে কম দূষণ সৃষ্টিকারী ‘গ্রিন ফায়ারক্র্যাকার’ ব্যবহার করা যায়। এই গ্রিন ফায়ারক্র্যাকারগুলো কম দূষণ ঘটায়।

অতীতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রায়ই উপেক্ষিত হয়েছে। তবে পরিবেশ সংস্থাগুলো এই গ্রিন ফায়ারক্র্যাকারের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।

আইকিউ এয়ার পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোরে আতশবাজির পরে দিল্লির কিছু অংশে পিএম ২.৫ ক্ষুদ্রকণার মাত্রা প্রতি ঘনমিটার ৮৪৬ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছয়। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দৈনিক সর্বোচ্চ সীমার ৫৬ গুণ বেশি।

এই সূক্ষ্ম কণাগুলো ফুসফুসে প্রবেশ করে হৃদরোগ, হাঁপানি এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়, যা ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে।

মঙ্গলবার সকাল নাগাদ পিএম২.৫-এর মাত্রা প্রায় ৩২০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটারে নেমে আসে, যা ডাব্লিউএইচওর সীমার প্রায় ২৩ গুণ, তবে শীতকালে দিল্লির জন্য তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিক। দিল্লি নিয়মিত বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানীগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।

দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ভারতের প্রায় ৩.৮ মিলিয়ন মৃত্যু বায়ুদূষণের সঙ্গে সম্পর্কিত।

জাতিসংঘের শিশু সংস্থা সতর্ক করেছে, দূষিত বায়ু শিশুদের জন্য তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

সূত্র : এএফপি।

আইকে/ টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পশ্চিমবঙ্গে বাবরি মসজিদ বানাতে চাওয়া বিধায়ককে বহিষ্কার, উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি Dec 05, 2025
img
ইংল্যান্ডের ক্লাবের দায়িত্বে বাংলাদেশের সাবেক কোচ Dec 05, 2025
img
পরিবেশ দূষণ রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার উদ্যোগ ডিএসসিসির Dec 05, 2025
img
খেলাধুলা ‘ফিফা শান্তি পুরস্কার’ পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Dec 05, 2025
img
কমতে পারে সারা দেশের রাত ও দিনের তাপমাত্রা Dec 05, 2025
img
ডিএমপির ৪ পুলিশ পরিদর্শককে গোয়েন্দা বিভাগে পদায়ন Dec 05, 2025
img
পরাজিত শক্তির পুনরুত্থান ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের Dec 05, 2025
img
পুরুষের নয়, নিজের হাতেই নিজের উপহার: সুস্মিতা সেন Dec 05, 2025
img

অমিতাভ বচ্চন

যা সহজে পাওয়া যায়, তা বেশিদিন থাকে না Dec 05, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন ডা. জুবাইদা রহমান Dec 05, 2025
img
শিরোপার লড়াইয়ের কারণে বিশ্বকাপ ড্র অনুষ্ঠানে থাকছেন না মেসি Dec 05, 2025
img
খাঁচায় ফিরলো চিড়িয়াখানার বেরিয়ে যাওয়া সেই সিংহ Dec 05, 2025
img
ছাত্রশক্তির নেত্রীকে বিয়ে করলেন হান্নান মাসউদ Dec 05, 2025
img
দেবের ঠিকানা ফাঁস করে দিতে চান জিৎ, কেন? Dec 05, 2025
img

সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম

যারা এতদিন নির্বাচন-নির্বাচন করেছে, তারা এখন ভোট পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে Dec 05, 2025
img
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ১২ দলীয় জোট Dec 05, 2025
img
সৌম্য রায়ের যত্ন ও সম্মান, মৌবনীর জীবনে নতুন ভোর Dec 05, 2025
img
নির্বাচনের তফসিল ও ভোটের তারিখ ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ ইসির Dec 05, 2025
img
আগামী বাংলাদেশ হবে তরুণদের স্বপ্নের : শিবির সভাপতি Dec 05, 2025
img
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ রাশেদ নুরগ্রেপ্তার Dec 05, 2025