রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশ রাজনীতির নতুন ব্যাকরণ শিখতে বসেছে বা লিখতে বসেছে। ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হলো, বহু দল সই করল। মূলত ১৮ টি দল নিবন্ধিত।
আর বাকি সাতটি দল অনিবন্ধিত। এনসিপি অংশ নিল না সেই দৃশ্য আমাদের রাজনীতির ঐকমত্য আর অবিশ্বাসকে একই ফ্রেমে তুলে ধরেছে।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, সনদটি রাজনৈতিক কাঠামো সংস্কার, ক্ষমতার ভারসাম্য, দুর্নীতিবিরোধী প্রাতিষ্ঠানিকতা ও নির্বাচনী ব্যবস্থার পুনর্গঠনের একটা রূপরেখা দিলেও এটি এখনো অনাবদ্ধ বাস্তবায়ন ব্যবস্থা।
আইনি পথ ও সংসদীয় ম্যান্ডেট ছাড়া এগুলো কঠিন। সেদিনের স্বাক্ষরের মধ্যেই ছিল প্রতিবাদ, উত্তেজনা, সংঘর্ষ ও বিস্ফোরণের অনুসঙ্গ। আর সেই প্রেক্ষাপটে এনসিপির বর্জন পুরো গল্পটিকে নতুন মোড় দিয়েছে।
জিল্লুর বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে একটি মৌলিক দ্বিধা প্রথম থেকেই ছিল।
এটি সংবিধানের ওপর স্থান পেতে পারে কিনা কিংবা কিভাবে এটি আইনি পল পাবে। সংবিধান ভাবনার দিক থেকে বহু বিশেষজ্ঞ বলছেন সনদকে স্টেট রিকগনিশন দেওয়ার পথ যেমন আছে তেমনি সেটিকে সংবিধানের ঊর্ধে তুলে ধরা যায় না। প্রয়োজনে গণভোট অধ্যাদেশ বা সাংবিধানিক সংশোধনের শৃঙ্খলার মধ্যে চলতে হবে।
জিল্লুর আরো বলেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলে বিচার ও বিধি আলাদা হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে, ধীর হলে পরিবর্তনের গতিতে হতাশা জন্মায়। পিআর নিয়ে বিতর্কটাও সরল নয়।
পিআর একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থাগত নকশা। দুভাবে রাজনৈতিক মাঠে ঢোকে। এক, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্বের হাতিয়ার হিসেবে। দুই, কৌশলী দরকষাকষির টুল হিসেবে।
পিএ/এসএন