আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটিতে তিনদিনের এ সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সৌদির সরকারের একটি সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, আগামী ১৭ নভেম্বর ক্রাউন প্রিন্স যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবেন। তিনি পরের দিন ট্রাম্পের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ে কথা বলবেন।
২০১৮ সালে তুরস্কে সৌদির দূতাবাসে সাংবাদিক ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হয়, প্রিন্স সালমানের সরাসরি নির্দেশনায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। ওই ঘটনার পর আর যুক্তরাষ্ট্রে যাননি সালমান।
২০২১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, জামাল খাসোগিকে হত্যা পরিকল্পনায় প্রিন্স সালমান নিজে অনুমোদন দিয়েছিলেন। যদিও সৌদি এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল।
কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সালমানের এ সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির মধ্যে নিরাপত্তা চুক্তি হতে পারে। চলতি মাসে কাতারের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি হয় যুক্তরাষ্ট্রের। সৌদির সঙ্গে মার্কিনিদের এখন একই ধরনের চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাতারের সঙ্গে চুক্তিতে বলা হয়েছে, দেশটির ওপর যদি কোনো হামলা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে যাবে।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন দ্বারপ্রান্তে ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর সব হিসাব-নিকাশ বদলে যায়। সৌদি জানিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না।
গত কয়েকদিন ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক স্থাপনের আব্রাহাম চুক্তির পরিধি বাড়বে। বলা হচ্ছে, সৌদি ট্রাম্পের কথায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গঠন করবে। তবে সৌদি এ ধরনের সম্ভাবনা নিয়ে সরাসরি কিছু বলেনি।
সূত্র: দ্য নিউজ
এসএস/টিএ