কয়েক মাসের কূটনৈতিক স্থবিরতার পর, গত সপ্তাহে পুতিন ও ট্রাম্প কথা বলেন এবং অপ্রত্যাশিতভাবে ঘোষণা করেন যে তারা হাঙ্গেরিতে একটি শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হবেন। ক্রেমলিন জানিয়েছিল যে এই বৈঠক কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হতে পারে।
কিন্তু সোমবার (২০শে অক্টোবর) দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে ফোনালাপের পর, হোয়াইট হাউস জানায় যে 'তাৎক্ষণিক ভবিষ্যতে' পুতিনের সাথে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা ট্রাম্পের নেই। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কোনো 'অফলপ্রসূ' বৈঠক চান না ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিনও এমন বৈঠক এড়াতে চান।
রুশ কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন, শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি অব্যাহত রয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভসাংবাদিকদের বলেন, 'তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি, তবে এর আগে পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রস্তুতি প্রয়োজন, এবং তাতে সময় লাগে।'
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, সম্মেলন বাতিল করা হয়নি, তবে মার্কিন পক্ষ আপাতত ট্রাম্পের আসন্ন এশিয়া সফরের দিকে মনোনিবেশ করছে। এই বিলম্বের কারণ হিসেবে রয়টার্সের তিনটি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়া শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য তার পূর্ববর্তী শর্তগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের সম্পূর্ণ দক্ষিণ-পূর্ব ডনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়া। এটি গত সপ্তাহে ট্রাম্পের দেওয়া বক্তব্যের পরিপন্থী, যেখানে তিনি বলেছিলেন উভয় পক্ষের উচিত বর্তমান রণাঙ্গনেই থেমে যাওয়া।
রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ-কে বলেছেন, রয়টার্সের প্রতিবেদনে যেভাবে বলা হয়েছে, মস্কো সেভাবে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে কিনা তা তিনি নিশ্চিত করতে পারছেন না।
এবি/টিএ