পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরের আবারও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির ক্ষমতাধর শীর্ষ এই দুই নেতাকে ‘‘অসাধারণ ব্যক্তি’’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একই সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসি শিগগিরই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাঝে চলা সংঘাতের সমাধান করবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে রোববার মালয়েশিয়ায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। মালয়েশিয়ায় স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প নিজেও।
ট্রাম্প বর্তমানে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে রয়েছেন। সেখানে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তিচুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এটি দীর্ঘমেয়াদী শান্তি চুক্তি হতে যাচ্ছে। এটি আমার প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাত্র আট মাসে শেষ করা আটটি যুদ্ধের মধ্যে অন্যতম। আমরা গড়ে প্রতি মাসে একটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছি।
‘‘বর্তমানে মাত্র একটি যুদ্ধ বাকি আছে। আমি শুনেছি পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান আবার আলোচনা শুরু করেছে। কিন্তু আমি অত্যন্ত দ্রুত তাদের সঙ্কটেরও সমাধান করে দেব। আমি তাদের বিষয়ে জানি।’’
দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীর হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘পাকিস্তান...ফিল্ড মার্শাল ও প্রধানমন্ত্রী, তারা দু’জনই অসাধারণ মানুষ। আমরা এই সঙ্কটেরও দ্রুত সমাধান করতে পারব। এটি নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। এটি কয়েক দিন আগে শুরু হয়েছে। এবং আমি মনে করি এটা আমি করতে পারবো।’’
‘‘আমি এই ধরনের সঙ্কটের সমাধান ভালোভাবেই করি। আমার হয়তো এটি করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি আমি সময় নিয়ে লাখ লাখ জীবন বাঁচাতে পারি, সেটাই আসলে মহৎ কাজ।’’
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমি এরচেয়ে আর ভালো কিছু ভাবতে পারি না। আমার প্রশাসন মাত্র আট মাসে যে আটটি যুদ্ধ শেষ করেছে, এরকম আগে কখনো হয়নি। কখনোই হবে না। আমি এমন কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের নাম মনে করতে পারছি না, যিনি একটি যুদ্ধেরও সমাধান করেছেন। আমি মনে করি কেউ নেই... তারা কেবল যুদ্ধ শুরু করে।’’
সম্প্রতি ঘোষিত চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তি থেকে নিজে বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকেই বার বার যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্ব দাবি করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট।
সূত্র: এনডিটিভি।
এমকে/এসএন