রাশিয়া ভালো দামে সর্বোচ্চ মানের জ্বালানি সরবরাহ করে এবং তাই যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পরেও তার অংশীদাররা রুশ জ্বালানি কিনবে কি না, সে বিষয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি রাশিয়ার শীর্ষ তেল কম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
রাশিয়ার বৃহৎ তেল কম্পানিগুলোর ওপর এই নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লুকঅয়েল তার বৈদেশিক সম্পদ বিক্রির ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছে।
শান্তি আলোচনা অচলাবস্থার সম্মুখীন হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মস্কোর ওপর ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন। ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইতিমধ্যে চীনের রাষ্ট্রীয় তেল কম্পানিগুলো সাময়িকভাবে রুশ অপরিশোধিত তেল কেনা স্থগিত করেছে। শিল্প সূত্র অনুসারে, সমুদ্রপথে রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারতীয় পরিশোধনাগারগুলোও তাদের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেকোনো দেশেরই উচ্চ গুণমান ও বৃহত্তর পরিমাণে, কম দামে, জ্বালানি সম্পদের মতো কৌশলগত পণ্য কেনার আগ্রহ থাকে। এই দিক থেকে, রুশ জ্বালানি সম্পদ আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। রুশ তেলের বৃহত্তম ক্রেতা ভারত ও চীন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে পেসকভ বলেন, ‘আমরা আমাদের পণ্য সরবরাহ করছি। এই পণ্যটি অনেক দেশের জন্য কৌশলগত তাৎপর্যপূর্ণ। এটি প্রতিযোগিতামূলক ও আকর্ষণীয়।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, মস্কো কখনোই যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো বিদেশি শক্তির চাপের কাছে মাথা নত করবে না। পুতিন বলেন, মার্কিন ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো একটি ‘অবন্ধুসুলভ’ কাজ এবং ‘এর কিছু পরিণতি হবে, তবে তারা আমাদের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার জ্বালানি খাত আত্মবিশ্বাসী রয়েছে।
ইউটি/টিএ