সাবেক বিশ্বসুন্দরী বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিনেতা অভিষেক বচ্চন দম্পতি নিয়ে আজকাল হামেশাই খবর আসে যে, তাদের দাম্পত্যজীবনে নাকি চিড় ধরেছে। যদিও পরিবারের কেউ-ই তা নিয়ে কখনো মুখ খোলেননি। সামাজিক মাধ্যমে এমন খবরে তাদের সংসারজীবনে ভাঙন ধরাতে পারেনি। সম্প্রতি বিয়ের পর এক সাক্ষাৎকারে শ্বশুরবাড়ির ‘ভালোবাসা’, অমিতাভ ও জয়া বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
১ নভেম্বর অভিনেত্রীর ৫১ পেরিয়ে গেলেও ৫২-তে পা রেখেছেন। তবু সময় যেন তাকে স্পর্শই করতে পারেনি। সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসে তিনি এখনো নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা—আইকন। সৌন্দর্যের সংজ্ঞা সময়ের সঙ্গে বদলায়, কিন্তু কিছু নাম সময়কেও হার মানিয়ে দেয়। ঠিক তেমনই ‘ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন’। তার জন্মদিনে সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছার বন্যা বইছে, ভক্তরা বলছেন— ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সময় তোমার কাছে হার মানিয়েছে।
১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জেতার পর বলিউডে একের পর এক হিট সিনেমায় কাজ করেছেন অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে কখনো অভিনেতা সালমান খান, কখনো বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়লেও ২০০৭ সালে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন রাই সুন্দরী।
বিয়ের পর অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে ‘সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত তারকা পরিবারে’ বিয়ে করার অনুভূতি কেমন, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী বলেন, প্রথমত আমি অভিষেককে বিয়ে করেছি (হাসি) এবং খুব আনন্দের সঙ্গে আছি।
অভিষেক বলেন, আমরা দুজন বিয়ে করেছি এবং খুব ভাগ্যবান যে এমন চমৎকার বাবা-মা পেয়েছি। তাই আমরা দুজনেই বলি যে, এখন আমাদের দুই জোড়া বাবা-মা আছে। বিয়ের পর ওর পরিবারে গিয়ে মনে হয়, আমি নিজের বাড়িতেই আছি।
অন্যদিকে ঐশ্বরিয়া বলেন, তারা বলেন যে, তারা একজন মেয়েকে ঘরে এনেছেন, আমার মনে হয় আমি নতুন বাবা-মা পেয়েছি। হতে পারে গোটা বিশ্বের কাছে তা চলচ্চিত্র জগতের প্রধান পরিবার।
তাহলে আপনার বিখ্যাত শ্বশুর (অমিতাভ বচ্চন) আপনার কাছে শুধুই শ্বশুর?—এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবেক এ বিশ্বসুন্দরী বলেন, আমার উত্তর হবে 'হ্যাঁ'। তবে 'শুধুই' বলে আমি বিষয়টিকে ছোট করতে চাই না। আমি বলব, তিনি আমার কাছে চূড়ান্ত ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং সম্মানের পাত্র।
অভিনেত্রী আরও বলেন, তিনি (অমিতাভ বচ্চন) ও মা (জয়া বচ্চন), মানে— তারা আমার কাছে পা ও মা এবং আমি কৃতজ্ঞ যে, তারা আমাকে এভাবে আপন করে নিয়েছেন এবং ভালোবেসেছেন।
টিএম/টিএ