সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদক কারবারি ও জুয়াড়িদের কেউ প্রশ্রয় দেবেন না। এদের বিষয়ে কেউ তদবির করলে, তাদেরকেও ধরে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে পুলিশে দেবেন।
তিনি বলেন, মাদক সব অপরাধের জন্ম দেয়।
মাদক একটি পরিবারকে কিভাবে ধ্বংস করে দেয়, তা আমরা দেখেছি। মাদকের জন্য সন্তান তার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করে। সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হয়। মাদকের বিষয়ে কোনো আপস করা যাবে না।
আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিন দিনের সফরে আজ শেষ দিন উপজেলার পুকুরিয়াসহ বিভিন্ন স্কুল মাঠে তিনি পথসভায় বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন মিথ্যা মামলায় আমি দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর জেল খেটেছি। তিনটি মৃত্যুদণ্ড ও তিনটি যাবজ্জীবন দিয়েও হাসিনার শখ মেটেনি, আরো অনেক মামলা দিয়ে আমাকে নির্যাতন করেছে, আর এক বছর গেলে হয়তো ফাঁসিতে ঝুলাত।
কারণ সে আমার কাছে যা চাইছে তা করিনি, প্রতিবছরেই বিভিন্ন সময় মন্ত্রী ও বিভিন্ন লোক আমার কাছে যেত কিন্তু আমি তাদের কথায় সারা দিইনি। কথায় আছে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’। এখন আল্লাহর রহমতে সবার দোয়া ও ভালোবাসায় আপনাদের কাছে ফিরে এসেছি। আপনারা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন, রোজা রেখেছেন, মান্নত করেছেন।
নেত্রকোনা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুড়ি) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বাবর বলেন, আমি এসেছি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে এবং গণতন্ত্রের মানসকন্যা বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শ নিয়ে এবং তার পুত্র আমাদের নেতা তারেক রহমানের আদর্শ নিয়ে, বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি।
আমার মূল লক্ষ্যই হলো আমার নির্বাচনী এলাকায় বেকারমুক্ত করে অর্থনীতি সমৃদ্ধ করা। প্রত্যেকটি যুবককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম কার্ণায়েন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম এরশাদুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী পুতুলসহ বিএনপির সব অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমকে/এসএন