২০২৬ বিশ্বকাপকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও স্বচ্ছ করতে ড্র পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনল ফিফা। নতুন নিয়মে এবারের টুর্নামেন্টে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা চার দল- স্পেন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড, নিজেদের গ্রুপে শীর্ষে থাকলে নকআউটের আগে একে অন্যের মুখোমুখি হবে না।
ফলে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা এবং লামিন ইয়ামালের স্পেন চাইলে কেবলই দেখা হতে পারে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ১৯ জুলাইয়ের ফাইনালে।
ফিফা মঙ্গলবার জানায়, এবারের ড্র হবে ‘টেনিস-স্টাইল ব্র্যাকেট’ পদ্ধতিতে, যেখানে নকআউটের সম্ভাব্য পথ আগে থেকেই নির্ধারিত থাকবে। এতে টুর্নামেন্টের চার সেরা দলকে রাখা হবে আলাদা চার সেকশনে। তারা গ্রুপে প্রথম হলে সেমিফাইনালের আগে একে অন্যের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ নেই।
৫ ডিসেম্বর ড্র, নতুন ফরম্যাটে ১২ গ্রুপ
ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি সেন্টারে আগামী ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র। ৪৮ দলকে ভাগ করা হবে ১২টি গ্রুপে, প্রতিটিতে থাকবে চারটি করে দল। পরদিন প্রকাশ হবে ম্যাচের ভেন্যু এবং সময়সূচি।
তিন আয়োজক দেশ- যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা, থাকছে পট–১-এ, বিশ্বের শীর্ষ নয় দলের সঙ্গে। ফলে গ্রুপের শীর্ষ বাছাই হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করবে তারা।
পট–১ এ রয়েছে: স্পেন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, ব্রাজিল, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, জার্মানি এবং তিন আয়োজক দল।
ড্রতে কনফেডারেশন নীতি বহাল, তবে ব্যতিক্রম ইউরোপ
পূর্বের মতোই একই মহাদেশের দুটি দল একই গ্রুপে পড়বে না। তবে ইউরোপের ১৬টি দল থাকায় চারটি গ্রুপে দুটি করে ইউরোপিয়ান দল দেখা যাবে।
আয়োজক দেশগুলোর সূচি আগেই স্পষ্ট
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার ম্যাচপথও দিচ্ছে স্পষ্ট ধারণা-
যুক্তরাষ্ট্র ১২ জুন ইনগেলউডে পট–৩-এর দলের বিরুদ্ধে খেলবে প্রথম ম্যাচ।
মেক্সিকো ১১ জুন আজটেকায় পট–৩-এর দলের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে।
কানাডা ১২ জুন টরন্টোতে পট–৪-এর দলের বিরুদ্ধে শুরু করবে তাদের অভিযান।
পট–২ ও পট–৩-এ থাকছে ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, উরুগুয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, তিউনিশিয়া, আইভরি কোস্টের মতো শক্তিশালী দল। পট–৪-এ জায়গা পেয়েছে জর্ডান, কেপ ভার্দে, ঘানা, হাইতি, নিউজিল্যান্ডসহ প্লে–অফ বিজয়ীরা।
দলগুলোর ‘পথ’ এবার অনেকটাই আগে থেকেই বোঝা যাবে
ড্র-য়ের পরই স্পষ্ট হয়ে যাবে, কোন দল কোন নকআউট পথে এগোতে পারে এবং কারা কার মুখোমুখি হতে পারে সেমিফাইনাল বা ফাইনালের আগে। আর এই ফরম্যাটের কারণেই স্পেন-আর্জেন্টিনা বা ফ্রান্স-ইংল্যান্ডের মতো সম্ভাব্য জটিল ম্যাচআপগুলো রাখা হয়েছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ শেষ পর্যায়ের জন্য।
এমআর/টিএ