বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে গালফ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতকারটি প্রকাশ করেছে গালফ নিউজ।
ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন (সিএএ) গালফ নিউজের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত সরকার কেন এটা (নাগরিকত্ব আইন সংশোধন) করল আমরা বুঝি না। এটার প্রয়োজন ছিল না। এসময় প্রধানমন্ত্রী ভারতের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারত সরকার বারবার আমাদের (বাংলাদেশ) আশ্বস্ত করেছে যে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই বাংলাদেশ সবসময়ই মনে করে এটা (সিএএ) ও (এনআরসি) ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।
এ সময় গালফ এর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এনআরসি বা সিএএ'র কারণে ভারত থেকে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। ভারত থেকে কোনো অভিবাসী বাংলাদেশে আসছে না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতে অভিবাসনের বিষয়টি সঠিক নয়। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের নাগরিকদের একটা বিরাট অংশের বিরোধিতার মধ্যেই গত ১১ ডিসেম্বর ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত জুড়ে বিক্ষোভ সিএএ ও এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যা এখন পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে অব্যাহত রয়েছে।
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (সিএএ) বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া অ-মুসলিমরা (হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন) ভারতের নাগরিকত্ব পাবে। আর এতেই ফুঁসে ওঠে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ।
টাইমস/এসএন/এইচইউ