আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকেই অনেকভাবে সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু ওসমান হাদি সৎ ও নির্ভীক থেকে ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে গিয়েছিলেন। যারা দেশের জন্য কাজ করেন, তারা সহজেই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারেন। ওসমান হাদি তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ। হাদির জানাজায় এত মানুষের সমাগম বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।’
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চনে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সপ্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ হাদির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আল্লাহ হাদিকে বেহেশতের সর্বোচ্চ জায়গায় স্থান দেবেন।
হাদি এই নশ্বর পৃথিবীর চেয়ে ভালো জায়গায় অবস্থা করছেন বলে বিশ্বাস করি।’ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার প্রসঙ্গে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘হামলাকারীর চেয়ে দেশে সৃষ্টিশীল মানুষের সংখ্যা বেশি। দেশে আত্মত্যাগকারী তরুণের সংখ্যা অনেক বেশি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর দেশের আইনব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অর্থনীতিকে নানাভাবে ভঙ্গুর করে দিয়েছিল বিগত সরকার। ফলে ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ একটি শোষকগোষ্ঠী থেকে মুক্তি পেয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজ, মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, স্টেট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আক্তার হোসেন খাঁন প্রমুখ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের ৬৭২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে ৩জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর‘স গোল্ড মেডেল, ৪জন শিক্ষার্থীকে ভাইস- চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
আইকে/টিএ