মহামারীতে বিশ্বে জন্ম নেবে ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশু

করোনা থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিদান দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষ কি আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে? হ্যাঁ, জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারীতে রূপ নেয়ার পর থেকে ৪০ সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বে জন্ম নেবে ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশু। ৬ মে প্রকাশিত ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন মতে, ১১ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব শিশু জন্ম নেবে। এর মধ্যে চারভাগের একভাগের জন্ম হবে দক্ষিণ এশিয়ায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু জন্ম নেবে ভারতে। তাছাড়া, বাংলাদেশে জন্ম নেবে ২৪ লাখ শিশু। পাকিস্তানে ৫০ লাখ। আফগানিস্তানে ১০ লাখ।

এতে আরও বলা হয়েছে, করোনার জন্য লকডাউন ও কারফিউয়ের ফলে ইতোমধ্যে সারা বিশ্বেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, ওষুধ সরবরাহ ও সরঞ্জামের সংকট দেখা দিয়েছে। শিশু জন্মে সহায়তাকারী দক্ষদের পর্যাপ্ত সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ার এসব নতুন মায়েরা এবং নবাগত শিশুদের কঠিন এক বাস্তবতার মুখে পড়তে হবে।

ইউনিসেফ বলেছে, যদিও তথ্যপ্রমাণ রয়েছে যে, গর্ভবতী মায়েরা অন্যদের থেকে কোভিড-১৯ এ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন না, তা সত্ত্বেও তাদের সন্তান প্রসবের পূর্ববর্তী, প্রসবকালীন এবং প্রসব-পরবর্তী সেবা নিশ্চিত করা উচিত এসব দেশের।

প্রতিবেদনে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরামর্শ দেয়া হয়েছে- জনসমাগম হয় এমন স্থান এড়িয়ে চলার। তবে স্বাস্থ্যসেবার জন্য তারা অনলাইন ব্যবহার করতে পারেন। যদি তারা করোনায় আক্রান্ত হনও তবু সন্তানকে বুকের দুধ পান করাতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত বুকের দুধে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: