বায়ুদূষণে আজও শীর্ষে ঢাকা

বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় আজও প্রথম স্থানে উঠে এসেছে ঢাকার নাম। সম্প্রতি দূষিত শহরের তালিকায় প্রায় প্রতিদিনই শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা।

বুধবার (৩১ মে) সকাল ৯টায় বায়ুমানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৬৬ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

এ ছাড়া একই সময়ে একিউআই স্কোর ১৬৫ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। ১৫৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিলির সান্তিয়াগো। ১৫৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি। ১৪৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই।

একইসময়ে ১৩৭ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। ১৩২ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে চীনের শেনিয়াং। ১২৯ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে চীনের বেইজিং। ১১০ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১১০ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হবিগঞ্জে দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৫০, ১৪৪ ধারা জারি Jul 07, 2025
img
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৫৭ লাখ: ইউএনএফপিএ Jul 07, 2025
img
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ইরানের প্রেসিডেন্টের Jul 07, 2025
img
বিমানে প্রেমিকের সঙ্গে ধরা পড়লেন শ্রদ্ধা, গোপন মুহূর্ত ফাঁস নিয়ে ক্ষুব্ধ রাভিনা Jul 07, 2025
img
জন্মদিনে প্রকাশ পেল ভারতীর জীবনের গোপন অধ্যায় Jul 07, 2025
img
মধ্যরাতে নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম Jul 07, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বৈঠক Jul 07, 2025
img
তরুণদের নিয়ে সানেমের জরিপ: নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাবে বিএনপি, এরপর জামায়াত-এনসিপি Jul 07, 2025
img
তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪.৮৬ শতাংশ Jul 07, 2025
img
বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে রাজপথে নেমেছি: নাহিদ Jul 07, 2025
img
সংসদের কাছে সংস্কারের কার্যভারকে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নই : আখতার হোসেন Jul 07, 2025
img
দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম Jul 07, 2025
শাহরুখ-ঋত্বিকের স্বপ্নের চরিত্রে রণবীর! Jul 07, 2025
অনিয়মে গড়া ভবন ভাঙলো রাজউক; স্বপ্নের বাসা নিয়ে একজনের আর্তনাদ! Jul 07, 2025
img
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার আহবান প্রধান উপদেষ্টার Jul 07, 2025
img
নারী ফুটবল দলকে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করলেন আসিফ মাহমুদ Jul 07, 2025
img
বাংলাদেশি স্পিনারদের মোকাবেলায় বিশেষ পরিকল্পনা করছে শ্রীলঙ্কা Jul 07, 2025
img
বরখাস্তের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রুশ মন্ত্রীর আত্মহনন Jul 07, 2025
img
চীনের সমর্থন ইস্যুতে ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান Jul 07, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইল ইসি Jul 07, 2025