পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় রাঙামাটি পৌর এলাকায় জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শহরের পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া বিকেলে রয়েছে শান্তি-সম্প্রতি সমাবেশ।
এদিকে, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে বিক্ষুব্ধ পাহাড়ি ছাত্র-জনতার ডাকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধে। সকাল থেকে জেলা সদর থেকে সব রুটে যান বন্ধ রয়েছে। সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন হওয়ায় এতে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে বেশি। চাকরিজীবী মানুষদের হেঁটে অফিসে যেতে দেখা গেছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শহরের অভ্যন্তরীণ চলাচলের একমাত্র মাধ্যম সিএনজি অটোরিকশাসহ ট্রাক, মিনি ট্রাক সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অবরোধের কারণে সাজেকে আটকা পড়েছে ৮ শতাধিক পর্যটক।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। শহরের হ্যাপির মোড়, বনরুপাসগহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, সদর সেনা জোনের কমান্ডার মো. এরশাদ হোসেন চৌধুরী।
পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, এই ঘটনায় ২টি মামলা করা হয়েছে। মামলার আলোকে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। যারা আইন হাতে তুলে নিয়েছে তারা কোনভাবে ছাড়া পাবেন না।
এদিকে, স্থানীয়রা পাহাড়ে শান্তি ফিরে আনার বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিও জানান তারা।