তামাকের ক্ষতিহ্রাস নীতি গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান


বাংলাদেশ সরকারকে ই-সিগারেট ও এ জাতীয় নিকোটিন সরবরাহকারী পণ্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে তামাক ক্ষতি হ্রাস আন্দোলনের জোট ‘দ্য কোয়ালিশন অব এশিয়া প্যাসিফিক হার্ম রিডাকশন অ্যাডভোকেটস’ (সিএপিএইচআরএ)। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আঞ্চলিক জোটটি জানায়, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক ক্ষতি হ্রাসের নীতি গ্রহণ করা হলে বহু মানুষের জীবন রক্ষার পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব হবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে তামাক ক্ষতি হ্রাস নীতি কার্যকর করা হলে আগামী ৪০ বছরে প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিশ্বজুড়ে যেসব দেশ এ ধরনের নীতি গ্রহণ করেছে, সেসব দেশে ধূমপানের হার এবং ধূমপানজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।

‘বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়েছে,’ বলেন সিএপিএইচআরএ-এর নির্বাহী সমন্বয়ক ন্যান্সি লুকাস। ‘যদি যথাযথ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তামাকের ক্ষতিহ্রাস পণ্যকে গ্রহণযোগ্য করা হয়, তাহলে ধূমপান কমানোর এবং অসংখ্য জীবন রক্ষার এক বিরাট সুযোগ তৈরি হবে। আমরা নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানাই, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় যে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে, তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের স্বার্থে কার্যকর ব্যবস্থা নিন।‘

সিএপিএইচআরএ বলছে, জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথাও ভাবা জরুরি। তামাকের ক্ষতি হ্রাসে সহায়ক পণ্য ধূমপায়ীদের জন্য একটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে। একইসঙ্গে, যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হলে সরকার রাজস্ব আহরণ করতে পারবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।

‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন তারা ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে বাস্তবসম্মত নীতি প্রণয়ন করে,’ বলেন লুকাস।

‘সুইডেনের মতো দেশগুলো ধূমপানমুক্ত হয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, তামাকের ক্ষতিহ্রাস নীতি কতটা কার্যকর হতে পারে। বাংলাদেশ এই অঞ্চলে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে, যা বহু মানুষের জীবন বাঁচাবে এবং দেশের জনগণের সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করবে।‘

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নির্বাচন ইস্যুতে জামায়াতকে বিএনপির প্রস্তাব Sep 20, 2025
img
৫ দফা দাবীতে সিলেট মহানগর জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ Sep 20, 2025
img
টিউলিপ সিদ্দিকের ভুয়া পাসপোর্ট ও এনআইডি কাণ্ড ফাঁস Sep 20, 2025
img
পাথর লুটের ঘটনায় লাইনম্যান মামুন গ্রেপ্তার Sep 20, 2025
img
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল Sep 20, 2025
img
‘এক মার্কা, এক জোট’ হলে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকবে না: মঞ্জু Sep 20, 2025
img
আংটি বদলের ছবি পোস্ট করে যা লিখলেন হান্নান মাসউদ Sep 20, 2025
img
চুপিসারে বাগদান সারলেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ! Sep 20, 2025
img
‘আসুন, আমরা তারেক রহমানকে সহযোগিতা করি’ Sep 20, 2025
img
সাকিবের অলরাউন্ড ঝলকে ৯৬ রানের জয় পেল আটলান্টা Sep 20, 2025
img
বিএনপি নেতারা সালিশে গেলেই বহিষ্কার : শেখ ফরিদ Sep 20, 2025
img
৫ দফা দাবিতে চট্টগ্রামে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Sep 20, 2025
img
ওমানকে হারিয়ে ভারতের টানা তৃতীয় জয় Sep 20, 2025
img
ট্রাম্প-জিনপিং ফোনালাপ, আলোচনায় টিকটক ও শুল্কনীতি Sep 20, 2025
img
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন মানে জুলাই বিপ্লব অস্বীকার : হামিদুর রহমান আজাদ Sep 20, 2025
img
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদলের চাকসু যাত্রা শুরু Sep 20, 2025
img
প্রশাসনিক কারণে মোহাম্মদপুরে এসিসহ ৩ পুলিশ ক্লোজ Sep 20, 2025
img
ময়মনসিংহে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ Sep 20, 2025
img
মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি নির্বাচনের বিরোধিতা করছে: সিপিবি সভাপতি Sep 19, 2025
img
চট্টগ্রামে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল চালকের Sep 19, 2025