জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেন সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ইলেইন পিয়ার্সন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিনিধি দল।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির রিপোর্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে গুম-হত্যার জন্য সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জোরপূর্বক গুমে জড়িত কর্মকর্তারাই তদন্তে হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে তথ্য দিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করা হয় প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা বা ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা গোপন বন্দিশালা সম্পর্কে জানতেন এবং কিছু ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা নিজেই সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়াও শেখ হাসিনা তার শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে। তারা ‘দলীয় ক্যাডারদের মতো’ আচরণ করেছে উল্লেখ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাবকে বিলুপ্ত এবং অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা ও বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে।
টিএ/