জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, 'শেখ হাসিনা নিজেকে বাঁচানোর জন্য দেশ থেকে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছেন। আত্মীয়-স্বজনদের সেইভ এক্সিট দিয়েছেন। হাসিনা নিজে এবং পরিবারকে বাঁচানোর জন্য পালালেও তার নেতাকর্মীদের নিয়ে যাননি। দলীয় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের চিন্তা করেননি। তৃণমূলদের বিচারের মুখোমুখি রেখে তিনি পালিয়েছেন। দেশের যারা নেতাকর্মী রয়েছে তাদের তিনি টিস্যুর মতো ব্যবহার করেছেন।'
রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম আরও বলেন, “আমাদের একটি লড়াইয়ের আন্দোলনে খুনি হাসিনা ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। তার থেকে আমাদের অসংখ্য শিক্ষা নেওয়ার আছে।” তিনি উল্লেখ করেন যে, হাসিনা তার পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছিলেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে নিজে পালিয়ে যান।
তিনি আরো বলেন, “পনেরো-ষোলো বছরে যখন আপনাদের কঠিন সময় ছিল তখন কোনো নেতাকে আপনি পেয়েছেন? আবার কেউ কেউ আত্মগোপনে থেকে কিংবা দেশের বাইরে সুবিধা আদায় করেছে। তারা এখন নতুন করে এসেছে এবং আপনার সামনে এসে দাঁড়িয়ে নিজেদের নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। এদের নেতা হিসেবে মেনে নেওয়া এক ধরনের অমানবিকতা হবে।”
সারজিস আলম তার বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন এবং জনতার কাতারে ফিরে এসে সারা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করবেন।
এছাড়া, তিনি বলেন, “যারা অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল, তাদেরই নতুন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে হবে। সোনারগাঁসহ সারা দেশের মানুষ, যারা সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, তারাই বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্মাণে থাকবে।”
এ ক্যাম্পেইনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সোনারগাঁয়ের শহীদ মেহেদীর বাবা ছানাউল্লাহ, শহীদ ইমরানের মা কোহিনূর আক্তার এবং ছাত্র নেতা শাকিল আহমেদ।
এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ের শত শত শিক্ষার্থী এবং নেতারা ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেন।