পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কর্মসূচির আওতায় বিক্রি করা গরুর মাংসের মান নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্তুষ্টি ও আক্ষেপ দুটোই রয়েছে।
কেউ কেউ মাংস কিনে বলছেন, শুধু এই জায়গাতেই ৬৫০ টাকা দিয়ে এক কেজি গরুর মাংস কেনা যায়। ঢাকার কোথাও এই দামে গরুর মাংস বিক্রি করা হয় না।
কেউ আবার আক্ষেপ করে বলছেন, এক কেজিতে প্রায় আধা কেজি পরিমাণই হাড্ডি, কলিজা কিংবা অন্য কিছু। শুধু মাংসের পরিমাণ আরও বেশি হলে মানুষ সত্যিকারভাবেই উপকৃত হতো।
সোমবার খামারবাড়ি গোলচত্বরসংলগ্ন ইস্পাহানি চক্ষু হাসপাতালের সামনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সুলভ মূল্যে দুধ-ডিম-মাংস বিক্রির কর্মসূচি থেকে পণ্য কিনতে যাওয়া মানুষেরা গরুর মাংস নিয়ে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তবে ডিম ও দুধ নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্তুষ্টি দেখা গেছে। বাজার থেকে কিছুটা কম দামে পেয়ে বাড়তি ডিম-দুধও কিনে নিচ্ছেন কেউ কেউ।
ওই জায়গায় বিক্রি তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক লিয়াকত হোসেন একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে বিক্রি শুরু করা হয়। আজ তাঁরা খামারবাড়িতে সাড়ে ৯টায় বিক্রি শুরু করেছেন। সেখানে আজ ৬০ কেজি গরুর মাংস, ৮৮ কেজি ড্রেসড ব্রয়লার, ২১১ লিটার দুধ ও ১৮৩ ডজন ডিম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুরুতে মানুষের উপস্থিতি বেশি ছিল বলেও জানান তিনি। ওই জায়গায় সাড়ে ১১টার দিকে গরুর মাংস শেষ হয়।
ঢাকা শহরের ২৫টি স্থানে ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত সুলভ মূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
ঢাকার বাইরেও অধিকাংশ জেলা ও উপজেলা শহরে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে। ২৮ রমজান পর্যন্ত এই বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। একজন ভোক্তা প্রতিটি গাড়ি থেকে ৬৫০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস, ২৫০ টাকায় চামড়া ছাড়া ব্রয়লার মুরগি, ৮০ টাকায় ১ লিটার পাস্তুরিত দুধ ও ১১৪ টাকায় ১ ডজন ডিম কিনতে পারছেন।