প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আর্থিক স্বচ্ছতা থাকলেও প্রকৃত শিক্ষা না থাকলে সুস্থিত জীবন যাপন করা যায় না।
তিনি বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন ব্যক্তির সামগ্রিক সুষম বিকাশ সাধন। যদি জাতি হিসেবে ভাল থাকতে চাই তাহলে এর বিকল্প নাই।
উপদেষ্টা আজ কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনে কক্ষে মাঠ প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত 'প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে' মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, শিক্ষাটা অবশ্যই আনন্দময় হওয়া উচিত। শিশুদের যুক্তিশীলতা, সৃজনশীলতা এবং অন্যের প্রতি দায়-দায়িত্ব শেখানো উচিত। তা না হলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব না। শুধু শিক্ষক নয়, একজন নাগরিক হিসেবে বিষয়টি ভেবে দেখবেন। এর অন্যকোনো পথ নেই।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের টার্গেট ঠিক করতে হবে। শিশুরা যাতে মাতৃভাষায় সাবলীলভাবে লিখতে, পড়তে ও গণিত করতে পারে- সে বিষয়টি অবশ্যই করতে হবে। এর থেকে নীচে নামা যাবেনা। শিশুরা কেন পারেনা সেটা দেখতে হবে। শিশুরা যাতে পারে সে টার্গেট ঠিক করতে হবে। প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে স্কুলগুলো পরিচালনা করতে হবে। স্কুলটির শিক্ষা কার্যক্রম কোন পর্যায়ে রয়েছে-সেটি দেখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এর উত্তরণে এগিয়ে আসতে হবে। যারা ভাল করছে তাদের পুরস্কৃত করব। যারা ভাল করতে পারছেনা তাদের সাহায্য করব। ফাঁকিবাজবাদের তিরস্কৃত করব। প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার অনেক বড় পরিবার। এর জনবল, আর্থিক ব্যয় ব্যবস্থাপনা ব্যাপক। প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি মানুষের ন্যূনতম যে আকাঙ্ক্ষা সেটা পূরণ অসম্ভব নয়। মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে- এর কোনো বিকল্প নাই।
জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, পিটিআই সুপার, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর, অভিভাবক এবং শিক্ষকগণ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
এসএম/টিএ