রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই কৃষ্ণ সাগরে হামলা বন্ধের ব্যাপারে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউস।
বিবৃতিতে বলে হয়েছে, “রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই কৃষ্ণ সাগরে সংঘাত বন্ধ, সেনা প্রত্যাহার এবং নিরাপদ জাহাজ চলাচলের ব্যাপারে একমত হয়েছে। পাশাপাশি, বাণিজ্যিক জাহাজকে সামরিক উদ্দেশে ব্যবহার করা হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্যোগে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি সংলাপ শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিরা সেখানে গিয়েছেন; তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন না। যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় রয়েছে এবং তারা বৈঠক করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
কৃষ্ণ সাগরে হামলা বন্ধের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছানোর ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুস্তেম উমেরভও। রিয়াদে ইউক্রেনের যে প্রতিনিধি দলটি গেছে, সেটির নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি।
তবে আল জাজিরাকে রুস্তেম বলেছেন, এখন থেকে কৃষ্ণ সাগর এলাকা ইউক্রেনের নিয়মিত নজরদারির মধ্যে থাকবে এবং যদি সাগরে কখনও কোনো প্রকার রুশ সামরিক জাহাজ দেখা যায়, তাহলে তা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে।
তবে এ ব্যাপারে রাশিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।সোমবার রিয়াদে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয় মার্কিন প্রতিনিধিদের। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক চলার পর কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।
এর আগে ২০২২ সালে তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল রাশিয়া। সে সময় ইউরোপের প্রতিনিধি হিসেবে তুরস্কের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে এই মর্মে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল যে, যদি রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে বাধা না দেয়, তাহলে রাশিয়ার ওপর জারি করার অনেক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে ইউরোপ।
মূলত ইউক্রেনের গম-ভুট্টা যেন কৃষ্ণসাগর পথে নির্বিঘ্নে ইউরোপে পৌঁছাতে পারে, সেজন্যই প্রস্তাব করা হয়েছিল এই বিরতি, রাশিয়া তাতে সম্মতও হয়েছিল।কিন্তু ইউরোপ তার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি না রাখায় ২০২৩ সালে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয় রাশিয়া।
এমআর