ভারতে ৪৫৪টি গাছ কাটায় গাছপ্রতি লক্ষ টাকা জরিমানা সুপ্রিম কোর্টের

তাজমহলের কাছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার স্কোয়্যার কিমি অঞ্চল জুড়ে তাজ ট্র্যাপিজিয়াম জোন। ওই সংরক্ষিত এলাকায় ৪৫৪টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে।

নির্বিচারে বনাঞ্চল ধ্বংস মানবসভ্যতাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সেই কথা আরও এক বার মনে করিয়ে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, একের পর এক গাছ কেটে ফেলা মানুষ খুনের চেয়েও বড় অপরাধ। পাশাপাশি, ওই সংক্রান্ত মামলায় এক ব্যক্তিকে প্রতিটি গাছ কাটার জন্য এক লক্ষ করে টাকা জরিমানা করেছে বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞার ডিভিশন বেঞ্চ।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওই ৪৫৪টি গাছ থেকে পরিবেশের যে মঙ্গল হত তা পুনরুদ্ধার করতে আরও ১০০ বছর লেগে যাবে। আর ওই গাছগুলি কাটার জন্য কারও অনুমতির তোয়াক্কা করেননি অভিযুক্ত।

ওই মামলার প্রেক্ষিতে সেন্ট্রাল এমপাওয়ার্ড কমিটি বা সিইসি-র রিপোর্ট গ্রহণ করে সর্বোচ্চ আদালত। তাতে মথুরা-বৃন্দাবনে ডালমিয়া ফার্মসে ৪৫৪টি গাছ কাটার জন্য জনৈক শিবশঙ্কর আগরওয়ালকে প্রতিটি গাছের জন্য এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়। সেটাই নির্দেশ আকারে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

অভিযুক্তের আইনজীবী মুকুল রোহতগি সর্বোচ্চ আদালতে মেনে নেন তাঁর মক্কেল ভুল করেছেন। এত টাকা জরিমানা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভবপর হবে না। জরিমানার অঙ্ক কমানোর জন্য তিনি আবেদন করেন। যদিও তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানায় অভিযুক্তকে ওই অঞ্চলে গাছ লাগাতে হবে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের নিষ্পত্তি হবে সকল পক্ষের সম্মতিতে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাজ ট্র্যাপিজ়িয়াম জ়োনের মধ্যে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি এবং জঙ্গল নয় এমন জায়গা থেকে গাছ কাটার জন্য অনুমতি নিতে হয়।

এসএম/টিএ

Share this news on: