দেশের প্রথম মোবাইল ভিত্তিক নিউজ স্টেশন বাংলাদেশ টাইমস-এর মোজো এডিটর ইন চিফ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সাব্বির আহমেদ। তিনি এর আগে প্রতিষ্ঠানটির লিড মোবাইল জার্নালিস্ট দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় এটাই প্রথম এ ধরণের কোন পদ বা টার্ম 'মোবাইল জার্নালিজম এডিটর-ইন-চিফ'।
২৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশ টাইমস- এ নতুন এই দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন মোজো এডিটর ইন চিফ সাব্বির আহমেদ।
টাইমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের মোবাইল জার্নালিজমে এটাই এরকম সর্বোচ্চ কোন দায়িত্ব বা টার্ম। MoJo Editor-in-Chief.। ২০২১ সালে অনলাইন গণমাধ্যম থেকে বাংলাদেশ টাইমসকে দেশের প্রথম প্রথম মোবাইল ভিত্তিক নিউজ স্টেশন হিসেবে রূপান্তর লাভ করে।
তখন দেশে প্রথমবারের মতো 'মোবাইল জার্নালিস্ট' টার্মটি প্রতিষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে 'লিড মোবাইল জার্নালিস্ট' হিসেবে দায়িত্ব নেন সাব্বির আহমেদ।
আর এসবের অগ্রভাগে থেকে দিকনির্দেশনা, কৌশল-কন্সাল্টেশন ও নীতি প্রণয়নে লিড দিয়েছিলেন বাংলাদেশের মোবাইল সাংবাদিকতার প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব ড. কাবিল খান জামিল খান। জামিল খান বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিলের সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক।
বাংলাদেশ টাইমসের পাবলিশার আবেদ মনসুর জানিয়েছেন, এদেশের সাংবাদিকতার পরিবর্তনে মোজো কনসেপ্ট চালু করে বাংলাদেশ টাইমস। এর ধারবাহিকতায় টাইমসের মত সব গণমাধ্যমে একটা মোজো বিপ্লব হয়। যার শুরু করেছিল বাংলাদেশ টাইমস। এই পরিবর্তন সাধনে বড় ভূমিকা রেখেছেন সাব্বির আহমেদ।
সামনের দিনে বাংলাদেশ টাইমসের স্যোশাল মাধ্যমে আরও শক্তিশালি ও নিত্য নতুন প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটিয়ে নতুনত্ব ও মোজো সাংবাদিকায় উচ্চতর ভূমিকা রাখবেন সাব্বির-এমন আশা প্রকাশ করেন- টাইমস পাবলিশার ও শিল্প উদ্যোক্তা আবেদ মনসুর।
বাংলাদেশ টাইমস-এর কনসালটেন্ট এডিটর ছিলেন ড. জামিল খান। তিনি বলেন, কেবল টাইমস নয়; এটা মোজো ইন্ড্রাস্ট্রির সামগ্রিক উন্নয়নে সাব্বির আহমেদের কঠোর পরিশ্রম , নিষ্ঠা এবং অবদানের স্বীকৃতি।
সাব্বির আহমেদ গেল কয়েক বছর ধরে সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রেস ইন্সটিটিউট , বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ,প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিক সংগঠনে মোবাইল সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। নতুন দায়িত্ব নিয়ে তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট পরিবেশনায় নতুনত্ব আনা আমার সামনে এখন একটা চ্যালেঞ্জ। এখানে আগে যেমন অত্যাধুনিক মোজো টুল ব্যবহার ও কৌশল নির্ধারণ করেছিলাম। এবারও এআই, অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR) ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) কনটেন্ট গবেষণা এবং তৈরির কাজের চ্যালেঞ্জগুলো নিচ্ছি। পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নেতৃত্বের কাজগুলো অব্যাহত থাকবে। তার চেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব বরাবরের মতো ফিল্ডে থাকতে।
সাব্বির আহমেদ সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ালেখা করছেন। জালালাবাদ ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট এমসি কলেজ, এরপর ভারতের মেঘালয়ে নর্থ ইর্স্টর্ন হিল ইউনিভার্সিটিতের সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে পাশ করেন। বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন মিডিয়া বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ও সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ছিলেন। এছাড়া সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন বার্তা২৪ডটকম, সারাবাংলাডটনেট সহ বিভিন্ন মাধ্যমে। তার নিজস্ব ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল sabbir live- কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জন্যও তিনি স্যোশাল মিডিয়ায় পরিচিতি। ফেসবুকে ১ মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার রয়েছে তার। এছাড়া ইউটিউব প্লে বাটনও পেয়েছিলেন তিনি। বাংলায় প্রথম মোজো ম্যানুয়াল বুক- স্যোশাল মোবাইল জার্নালিজম বইয়ের লেখক তিনি। ড কাবিল খান জামিলের সঙ্গে যৌথ ভাবে বইটি রচনা করেন তিনি। এছাড়া প্রেস ইনস্টিটিউটের রিসোর্স পারসন হিসেবে মোবাইল সাংবাকিতা বিষয়ে লিড ট্রেইনার হিসেবে কাজ করেন।