শেখ হাসিনা পালানোর পর সংকটময় মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের আইন প্রণেতা নিকি বয়েড। আইন পরিষদে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে নিজের নানা যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি পরবর্তী অধিবেশন দিবসে তার প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনা করার দাবি জানান।
নিকি বয়েড অধিবেশনে নিজের প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫৫তম স্বাধীনতা দিবস, যা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার দিনটিকে স্মরণ করে এবং বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ৫৫ বছর পূর্তির মুহূর্ত চিহ্নিত করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মুক্তি, ন্যায়বিচার, ঐক্য, সমতা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম ও সহনশীলতাকে উদযাপন করে।
তিনি জানান, গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ কমিউনিটি কাউন্সিল লাকেম্বা লাইব্রেরি হলে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এবং রমজানের ইফতার সম্পন্ন হয়। এই অনুষ্ঠানে অনেক কমিউনিটি সদস্য ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন, যারা স্বাধীনতা দিবসকে বাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য একটি চিরন্তন গৌরবের উৎস হিসেবে উদযাপন করেছেন, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি সম্প্রদায়ও অন্তর্ভুক্ত।
নিকি বয়েড বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বর্তমানে গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, বিশেষ করে দুর্নীতি, হুমকি ও অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন, যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিচালিত পূর্ববর্তী শাসন ব্যবস্থার পতনের পর থেকে আরও প্রকট হয়েছে। এই সংকটময় মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো, কারণ দেশটি তার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সরকারি প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের, দুর্নীতির মূলোৎপাটনের এবং জনগণের গণতান্ত্রিক শাসনের প্রতি বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছে। একই সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি।
কুইন্সল্যান্ডের এই আইনপ্রণেতা বলেন, এই পরিষদ বাংলাদেশি জনগণের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং স্থিতিশীলতার জন্য চলমান সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে। তিনি অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি এও বলেন, একটি মুক্ত ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রূপান্তরের রোডম্যাপ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হোক। নির্বাচনী স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দুর্নীতিবিরোধী কঠোর ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে সুরক্ষিত করার আশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
এফপি/এস এন