যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ সুদানের সব অভিবাসীর ভিসা বাতিল করেছে এবং তাদের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, দক্ষিণ সুদানের যেসব অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল, তাদের গ্রহণ করেনি দক্ষিণ সুদান, যার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রুবিও রোববার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দক্ষিণ সুদানের পাসপোর্টধারীদের সব ধরনের মার্কিন ভিসা বাতিল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এছাড়া এ দেশের নাগরিকরা যাতে আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারেন, সেক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর, দক্ষিণ সুদান প্রথম দেশ হিসেবে যাদের সকল পাসপোর্টধারীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসন-বিরোধী প্রচারের প্রতিফলন হিসেবে দক্ষিণ সুদানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বিবৃতিতে আরও বলেছেন, দক্ষিণ সুদানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুযোগে সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে।” তিনি বলেন, “যখন কোনো দেশ অন্য কোনো দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে চায় তখন তাদের নিজ নাগরিকদের সময়মতো গ্রহণ করা উচিত।” দক্ষিণ সুদান যদি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে তাহলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন রুবিও।
বিশ্বের নবীনতম দেশ হলো দক্ষিণ সুদান। সঙ্গে এটি বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশও। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। বর্তমানে সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। অনেকের আশঙ্কা ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধ আবারও ফিরে আসতে পারে। এ যুদ্ধে সেখানে ৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
দক্ষিণ সুদানের জনগণকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ‘অস্থায়ী সুরক্ষা স্ট্যাটাস’ দিয়েছিল। এতে করে এ দেশের মানুষকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সুযোগ নেই। তবে ২০২৫ সালের ৩ মে এটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
এসএস/এসএন