ফেনীতে থাইল্যান্ডের নারীকে ধর্ষণ-মারধর, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ফেনীতে থাইল্যান্ডের এক নাগরিককে (৪০) ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে মোখসুদুর রহমান (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ এপ্রিল) গ্রেপ্তারের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।গ্রেপ্তার মোখসুদুর রহমান ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের নোয়াবাদ মুসলিম মেম্বার ভূঁইয়া বাড়ির মৃত আব্দুর রবের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও বর্তমানে থাইল্যান্ডের ওই নাগরিক ২০২০ সালে হংকং-এ একটি মুদির দোকানের ব্যবসা করেন। সেখানেই অভিযুক্ত মোখসুদুর রহমানের সঙ্গে পরিচিত হন। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও অভিযুক্ত তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। একপর্যায়ে সেখানে দুজনে মিলে একটি ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে মোখসুদুরকে ব্যবসা ও বাংলাদেশে জমি কেনার জন্য ২ লাখ ১০ হাজার হংকং ডলার ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার দেন ভুক্তভোগী ওই নারী। একসময় অভিযুক্ত সেদেশে ভিসা সমস্যার কারণে কারাগারে গেলে তাকে মুক্ত করেন ভুক্তভোগী নারী।
 
সূত্র জানায়, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোখসুদুর বাংলাদেশে চলে এলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। মোখসুদুর ভুক্তভোগী নারীকে স্ত্রী পরিচয়ে আত্মীয়স্বজনদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেন। গত বছরের ২২ মার্চ বিয়ের প্রলোভন দেখালে তিনি প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন। একইভাবে মোখসুদুর গত বছরের ১২ অক্টোবর আবার ওই নারীকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে তার নিজ ঘরে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ রোববার (১৩ এপ্রিল) ওই নারী বাংলাদেশে এসে অভিযুক্তের ফেনীর বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় তার একটি মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন, যেখানে তাদের দুজনের ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মোখসুদুর রহমানের নাম উল্লেখ ও আরও দুইজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোখসুদুরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আদালতে ভুক্তভোগী নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

এমআর/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামায়াতে ইসলামী সুখী-সমৃদ্ধ মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় : নূরুল ইসলাম বুলবুল Oct 21, 2025
img
শ্বশুরের কোদালের আঘাতে প্রাণ হারাল জামাই Oct 21, 2025
img
জনকল্যাণ ও দেশের উন্নয়নই বিএনপির মূল লক্ষ্য : কফিল উদ্দিন Oct 21, 2025
img
কুমিল্লায় ইউপি সদস্যের বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা Oct 21, 2025
img
‘আমন্ত্রণ পেলে’ ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে যোগ দিতে রাজি জেলেনস্কি Oct 21, 2025
img
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন আর নেই Oct 21, 2025
img
পাকিস্তানের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক শাহীন আফ্রিদি Oct 21, 2025
img
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা কলেজে মশাল মিছিল Oct 21, 2025
img
ফেনীতে মহিলা জামায়াতের উঠান বৈঠকে হামলা, আহত ২০ Oct 21, 2025
img
ফল ব্যবসায়ী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেন নী/ল ছবির সেই তারকা যুগল Oct 21, 2025
img
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতা ম্যাচে হার, সেমির স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের Oct 20, 2025
img
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় Oct 20, 2025
img
শাপলা প্রতীক নিয়ে আবারও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি Oct 20, 2025
img
রাজনীতিতে আবারও ‘মাইনাস’ -কঠিন সময় এনসিপির : জিল্লুর রহমান Oct 20, 2025
img
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে সংহতি জানাবে এনসিপি Oct 20, 2025
img
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হামিদুল হক মোহন আর নেই Oct 20, 2025
img
মাদাগাস্কারে সেনা অভ্যুত্থানের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ Oct 20, 2025
img
ওয়ানডে সিরিজের মাঝেই ঢাকা থেকে ইংল্যান্ডে যাচ্ছেন শামার জোসেফ Oct 20, 2025
img
এবার চিরতরে চলে গেলেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা Oct 20, 2025
img
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা সেটা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ Oct 20, 2025